সবশেষ ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে ভারতকে তাদের মাটিতে টেস্টে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তার ঠিক ২৫ বছর পর আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) আবার ভারতকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করল প্রোটিয়ারা।
টেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে গুয়াহাটি টেস্টের পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশনে ভারতকে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ২৫ বছর পর সিরিজ জয়ের পাশাপাশি হোয়াইটওয়াশ করার রেকর্ডও গড়ল টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। যা রানের দিক দিয়ে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার!
ভারতকে অবশ্য ৫৪৯ রানের অসম্ভব টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ভারত। এতো বড় টার্গেট তাড়া করে জেতা ছিল অসম্ভব। তবে পুরো দিন ব্যাটিং করে হার এড়ানো ছিল সম্ভব। কিন্তু সেটাও করতে পারল না স্বাগতিকরা। পুরো দুই সেশনও ব্যাটিং করতে পারল না পন্তের নেতৃত্বাধীন ভারত দল।
৫ উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তুলে পঞ্চম দিনের মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় তারা। এরপর ফিরে আর ৫০ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় তারা। ৬৪.৫ ওভারে তারা করতে পারে কেবল ১৪০ রান। তাতে ৪০৮ রানের বিশাল ব্যবধানের হারকে সঙ্গী করতে হয় গৌতম গম্ভীরের শিষ্যদের।
এই ইনিংসে ভারতের হয়ে একমাত্র রবীন্দ্র জাদেজা ফিফটি করেন। ৮৭ বল খেলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৪ রান। ১৬ রান করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। এছাড়া সাই সুদর্শন ১৪, জয়সওয়াল ১৩ ও পন্ত করেন ১৩ রান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।
বল হাতে এই ইনিংসে ৬ উইকেট নেন সিমন হারমার। প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৩টি। কেশব মহারাজ এই ইনিংসে নেন ২টি। ১টি করে উইকেট নেন মার্কো জানসেন ও সেনুরান মুথুসামি।
প্রথম ইনিংসে ৯৩ রান ও ৬ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন জানসেন। আর দুই ম্যাচে মোট ১৭ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন সিমন।
গুয়াহাটি টেস্টের প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৮৯ রান করে। জবাবে ভারত করতে পারে ২০১ রান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৪৯ রান। সেটার জবাবে তারা অলআউট হয় ১৪০ রানে।