যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে হামলার এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন ডিসি মেয়র মুরিয়েল বাউসার এটাকে ‘পরিকল্পিত গুলি’র ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানান, ন্যাশনাল গার্ডের গুলিবিদ্ধ দুই সদস্যের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তা জেফ্রি ক্যারল জানান, হামলাকারী একজনই। ঘটনাস্থলেই তাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে। তাকেও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনার সময় ফ্লোরিডায় ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারী একজন আফগান নাগরিক, যিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অভিবাসী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন। সন্ত্রাসী কাজের জন্য তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।
বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস অভিযুক্ত বন্দুকধারীকে রহমানুল্লাহ লাকানওয়াল হিসেবে শনাক্ত করেছে, যিনি ২৯ বছর বয়সী আফগান নাগরিক।
২০২১ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে বিশেষ অভিবাসন সুরক্ষার অধীনে কয়েক হাজার আফগান যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিল।
বুধবার রাতে একটি লাইভ ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের এখন বাইডেনের আমলে আফগানিস্তান থেকে আমাদের দেশে প্রবেশকারী প্রতিটি বিদেশীকে পুনরায় পরীক্ষা করা উচিত।”
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামলাকারীকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “যে ব্যক্তিটি দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলি করেছিল, উভয়ই গুরুতর আহত হয়েছে এবং এখন দুটি পৃথক হাসপাতালে রয়েছে, সেও গুরুতর আহত হয়েছে, তবে তা সত্ত্বেও, তাকে খুব চড়া মূল্য দিতে হবে।”
ঘটনার পর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, ট্রাম্প তাকে ওয়াশিংটন ডিসিতে আরো ৫০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য পাঠাতে বলেছেন।
পেন্টাগন প্রধান বলেন, “এ পদক্ষেপ ওয়াশিংটন ডিসিকে নিরাপদ এবং সুন্দর করে তোলার জন্য আমাদের সংকল্পকে আরও দৃঢ় করবে।”
ট্রাম্পের নির্দেশে গত আগস্ট মাস থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে ২,২০০ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাজধানীর অপরাধ দমনের কথা বলে সেনা মোতায়েন করেছিলেন। তার দাবি ছিল, ‘আইনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘটনায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওয়াশিংটন ডিসি কর্তৃপক্ষ।