রাজনীতি

ঈশ্বরদীতে যা ঘটে গেল তা হঠাৎ করে হয়নি: জামায়াত আমির

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে পাবনার ঈশ্বরদীতে জামায়াতের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের প্রচারে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া বার্তা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান।

২৭ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে নিজের ফেরিফায়েড ফুসবুক অ্যাকাউন্টে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, “পাবনার ইশ্বরদীতে আজ যা ঘটে গেল, তা হঠাৎ করে হয়নি।

“বিএনপির দলীয় প্রার্থীর অসহিষ্ণু, অগণতান্ত্রিক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণ করছে— এটি ব্যালটের যুদ্ধ নয়; বরং বুলেট দিয়ে তিনি তার সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চান,” লিখেছেন তিনি।

প্রশাসন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে, জনগণ দেখতে চায় প্রশাসন কী করে- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, “তবে সকল সন্ত্রাসীর ব্যাপারে আমাদের বার্তা হলো— জামায়াত কোনো সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না।”

তিনি বলেছেন, “জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই আমাদের আরো জোরদার হবে।”

“সন্ত্রাস ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। ইনশাআল্লাহ আমরা থামব না,” যোগ করেন জামায়াত আমির।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঈশ্বরদীর সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়াগড়ি এলাকায় জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের প্রচারে হামলা হয়।আহতরা জামায়াতের নেতাকর্মী। তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. স. ম আব্দুন নুর বলেন, ‘‘আপনারা (সাংবাদিক) স্পটে আসেন, আমরা স্পটে আছি। স্পটে ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। বক্তব্য নিতে হলে আরো দুই ঘণ্টা পর নিতে হবে।’’  

জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলার চড় গড়গড়ি এলাকায় দুই দিন আগে স্থানীয় জামায়াতের কর্মীদের মারধর করে স্থানীয় বিএনপির কর্মী মক্কেল মৃধা ও তার লোকজন। সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ওই এলাকায় প্রচার চালাতে যান পাবনা-৪ আসনের জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল ও তার সমর্থকরা। তারা চর গড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পৌঁছালে মক্কেল মৃধার ছেলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়।

অভিযোগে তারা আরো বলেছেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা ফেরার পথে মৃধাপাড়ায় আবারো হামলা চালায় মক্কেল মৃধার লোকজন। আবু তালেব মন্ডলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তাকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। তিনি সামান্য আহত হন। জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, ‘‘আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির আওতায় আজকে সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক বিএনপির সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। অন্তত ৬০-৭০ জন আহত হয়েছেন।’’

এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।