সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ৯০০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ওই কমিটি।
শুরুতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম আসা খেলোয়াড়–কর্মকর্তাদের এবারের বিপিএলের বাইরে রাখা হবে।
কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, অভিযুক্ত কোচ–কর্মকর্তারাই শুধু এবারের বিপিএলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। কিন্তু অভিযুক্ত খেলোয়াড়েরা থাকবেন ড্রাফটে, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে খেলতেও পারবেন। বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে তুমুল সমালোচনা হয়। দিন যত গড়ায় বিসিবি সমালোচনায় বিদ্ধ হতে থাকে।
সবশেষ গত বুধবার আনুষ্ঠানিক যে সংবাদ সম্মেলন হয়েছিল, সেখানেও সরাসরি জানতে চাওয়া হয় ৯০০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনের সিদ্ধান্ত আসতে কতদিন সময় লাগবে এবং অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা যদি আবারও মাঠে নামে এবং ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে যায় তাহলে বিসিবির করণীয় কি থাকবে? এই সময় আরেকটি প্রশ্নও উঠে। বিসিবি কি নিজেরাই অভিযুক্তদের সুযোগ দিয়ে বাকিদের অনুপ্রাণিত করছে না?
প্রশ্নবানে জর্জরিত হওয়া বোর্ডের অবশেষে টনক নড়ল। জানা গেছে, ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের ছাড়াই বিপিএল আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল শনিবারের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
তার সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত কারো নামে প্রমাণ পেলে বিপিএলের নিলাম থেকে তার নাম বাদ পড়বে। আইসিসির বিধি অনুযায়ী, শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর অভিযুক্ত কারো বিরুদ্ধে প্রমাণ না পেলে, নাম নিলামে তোলা হবে।
৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় রাজধানীর একটি হোটেলে হবে বিপিএলের নিলাম।
গত আগস্টে অ্যালেক্সে মার্শালকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের দায়িত্ব সামলানো অভিজ্ঞ অ্যালেক্সের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টই ছিল বিপিএল। লম্বা সময় নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। সেই প্রতিবেদনই আগামীকাল পেতে যাচ্ছে বোর্ড। তার সুপারিশেই দুর্নীতিগ্রস্ত ক্রিকেটারদের বিপিএল থেকে দূরে রাখবে বোর্ড।
বিসিবি এখন পর্যন্ত খেলোয়াড় তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি। খসড়া তালিকা একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে অভিযুক্ত খেলোয়াড়দের নাম আছে বলেই খবর। মার্শালের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সেই সব চিহ্নিত ক্রিকেটার বিপিএলের দ্বাদশ আসরে অংশ নিতে পারবেন না।