বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ আসরে অংশ নিতে পারবেন না এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুধু তারাই নন, শফিউল ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবু, সানজামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন খান ও নিহাদুজ্জামান অংশ নিতে পারবেন না বিপিএলে। ফিক্সিং সন্দেহের কারণে এখন পর্যন্ত ৮ খেলোয়াড়ের নাম এসেছে। এদের মধ্যে ৫ জনের নাম নিলাম তালিকায় ছিল। তাদের নাম কাটা পড়েছে নিলাম তালিকা থেকে। তবে সবাইকেই দুনীর্তির তদন্তে ‘রেড মার্ক জোনে’ রাখা হয়েছিল আগেই।
সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ৯০০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ওই কমিটি। শুরুতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হিসেবে নাম আসা খেলোয়াড়–কর্মকর্তাদের এবারের বিপিএলের বাইরে রাখা হবে।
কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয়, অভিযুক্ত কোচ–কর্মকর্তারাই শুধু এবারের বিপিএলে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন না। কিন্তু অভিযুক্ত খেলোয়াড়েরা থাকবেন ড্রাফটে, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে খেলতেও পারবেন। বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে তুমুল সমালোচনা হয়। দিন যত গড়ায় বিসিবি সমালোচনায় বিদ্ধ হতে থাকে। প্রশ্নবানে জর্জরিত হওয়ার পর বোর্ডের অবশেষে টনক নড়ে।
বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের পরামর্শক অ্যালেক্স মার্শাল ৯০০ পাতার প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ এবং তদন্ত করার পর আপাতত ৮ ক্রিকেটারের নাম সুপারিশ করেছে। তার এই তদন্ত চলমান থাকবে। বিসিবি এখন পর্যন্ত বিপিএলের আনুষ্ঠানিক নিলাম তালিকা প্রকাশ করেনি। তবে বিসিবির তৈরি করা খসড়া তালিকায় ছিল ফিক্সিংয়ে সন্দেহর তালিকায় থাকা ৫ ক্রিকেটার। শনিবারের তৈরি করা নিলাম তালিকায় তাদের নাম নেই।