নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরের রিংকি আক্তার (২২) ভুল চিকিৎসার কারণে মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। শনিবার (২৯ নভেম্বর) জেলা শহরের মাইজদী হাউজিং এস্টেট এলাকার ডা. মজিবুল হকের পরিচালিত ইএনটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
গত ২৫ নভেম্বর গলা ব্যথার কারণে রিংকি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাইজদী হাউজিং এলাকার চিকিৎসক ডা. মুজিবুল হকের কাছে নেওয়া হয়। তিনি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিলে ওই দিনে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়া হলেও বাসায় ফিরে রিংকির গলায় তীব্র ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়। বিষয়টি জানালে চিকিৎসক গুরুত্ব না দিয়ে ‘স্বাভাবিক’ বলে উল্লেখ করেন৷
শনিবার (২৯ নভেম্বর) তাকে একই হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহতের মা শাহিনা আক্তার বলেন, ‘‘চিকিৎসকের অবহেলার কারণে আমার মেয়ে মারা গেছে। ব্যথা-রক্তপাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।’’
ভাই আলাউদ্দিন শাকিল বলেন, ‘‘আমরা বোনের মৃত্যুর বিচার চাই। চিকিৎসক মজিবুল হকের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ ছিল এবং মৃত্যুর খবর জানাতে গেলে আমাদের লাঞ্ছিত করা হয়। পরে সুধারাম মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’
স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসক তার পাঁচতলা বাড়ির নিচের ফ্ল্যাট হাসপাতাল বানিয়ে রোগী দেখা ও অপারেশন করেন। এর বৈধতা প্রশ্নে উঠেছে। ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা ভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডা. মজিবুল হক যে হাসপাতাল পরিচালনা করেন, সেটির বৈধতা নেই। তিনি তার বাড়ির নিচ তলার একটি অংশ হাসপাতাল বানিয়ে রোগীদের অপারেশনসহ চেম্বার পরিচালনা করেন।
রোগীর মৃত্যুর পর থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থলে গেলে ডা. মজিবুল হক দ্রুত ভবন ত্যাগ করেন এবং মোবাইল বন্ধ করে দেন। তাই তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা জানান সুধারাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’