এর আগে কয়েকটি ফোন এসেছিল তার। একই কারণে। তাইতো রিং বাজতেই বুঝে গিয়েছিলেন ওপার থেকে প্রত্যাশিত প্রশ্নটা কি হতে পারে। এজন্য সরাসরি উত্তরটা দিয়ে দিলেন, ‘‘হ্যাঁ শামীম হোসেনকে নেওয়া হয়েছে শেষ টি-টোয়েন্টিতে। আমরা দলের চাহিদা ফুলফুল করেছি।’’
বলছিলেন জাতীয় দলের নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিবেচনায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে তাকে দলে রাখা হয়নি। যা মোটেও পছন্দ হয়নি অধিনায়ক লিটন দাসের। সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়ে দেন, নির্বাচকরা দল দিয়েছেন সেই দল নিয়ে খেলতে হবে। শামীম কেন বাদ সেই কারণ তিনি জানেন না।
লিটনের অভিযোগের পর ভিডিও বার্তায় গাজী আশরাফ হোসেন জানান, অধিনায়কের সব কথা শুনতে হবে বিষয়টি এমনও নয়। যেই দল দেওয়া হয়েছে সেটাকেই সেরা বলে মনে করা হয়েছে। তবে কেন, কি কারণে দুই ম্যাচ পরই শামীমকে নেয়া হলো সেই কারণটা ব্যাখ্যা করলেন না তিনি। স্রেফ পরিস্কার করতে চাইলেন, ‘‘দল থেকে শামীমকে নেওয়ার চাহিদা ছিল, আমরা নিয়েছি। আর কিছু তো নয়।’’
শামীমের পরিবর্তে প্রথম দুই ম্যাচে দলে নেওয়া হয়েছিল মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলে আসা মাহিদুল দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি একাদশে। তৃতীয় ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা কম। তাকে বাদও দেয়নি। শামীমকে কেবল যুক্ত করা হয়েছে। উইনিং কম্বিনেশন দল ভাঙবে কিনা সেটা বিরাট প্রশ্নের। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে শামীমকে দলে নিয়ে খেলানো হবে কিনা সেই প্রশ্নটাও নির্বাচককে করা হয়েছিল। উত্তরটা মিলেছে কেবল দুই শব্দের, ‘‘নো কমেন্টস।’’
নির্বাচকরা তাকে পারফরম্যান্সের কারণেই দল থেকে বাদ দিয়েছিল। সবশেষ পাঁচ ইনিংসে ১, ১, ০, ৩৩, ০ এই রান করেছেন শামীম। অফফর্মে থাকার কারণে তাকে বাদ দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু মাঝে কয়েকদিনের বিশ্রাম শেষেই আবার যুক্ত হলেন দলের সঙ্গে।