দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, ‘‘আমাদের কাছে প্রতিটি মানুষের জীবন মূল্যবান, তাই দুর্যোগে তাদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সরকারের লক্ষ্য।’’
রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবন মিলনায়তনে ‘সকলের জন্য প্রাথমিক পূর্বাভাস জাতীয় রোডম্যাপ প্রচার’ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘‘আমরা এমন এক জাতির প্রতিনিধিত্ব করি, যারা দুর্যোগের সঙ্গে নিত্য বসবাস করে এবং অকুতোভয়ে দুর্যোগের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।’’
এবারের আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ফান্ড রেজিলিয়েন্স, নট ডিজিস্টার’ এর কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পর ক্ষয়ক্ষতি পূরণে ব্যয় করার চেয়ে দুর্যোগ সহিষ্ণুতা গড়ে তুলতে আগাম বিনিয়োগ করাই অধিক কার্যকর, টেকসই এবং জনকল্যাণমূলক।’’
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আপনারা সকলে জানেন, ১৯৭০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এক রাতের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল। তখন কোনো আধুনিক পূর্বাভাস ব্যবস্থা ছিল না, ছিল না প্রযুক্তিগত সতর্কবার্তা কিংবা আশ্রয়কেন্দ্র। মানুষ জানতেই পারেনি, একটি মৃত্যু-ঝড় তাদের ওপর আঘাত হানতে যাচ্ছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আজকে প্রযুক্তিগত অগ্ৰগতি নিয়ে কথা বলতে গেলে পূর্বের ভয়াবহ দুর্যোগের স্মৃতি আমাদের গভীরভাবে নাড়া দেয়। আমরা উপলব্ধি করি দুর্যোগের প্রাথমিক পূর্বাভাস জীবনরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’
তিনি বলেন, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত একজন দরিদ্র মানুষকে প্রায় শূন্য অবস্থা থেকে জীবন পুনরায় শুরু করতে হয়। এ কারণে সকলের জন্য প্রাথমিক পূর্বাভাস দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূতে নিকোলাস উইকস, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কবির মো, আশরাফ আলম বক্তৃতা করেন।