জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “আমি রাজমিস্ত্রির ছেলে। আমি গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। যারা কর্মজীবী, যারা পরিশ্রম করে রোজগার করেন, তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এসেছি। আমার বড় কোনো বংশ পরিচয় নাই। আমার অনেক টাকা-পয়সা নাই। আমি বিদেশে পড়াশোনা করি নাই। ঘি খেয়ে বড় হইনি। ইস্ত্রি করা পাঞ্জাবি পরে বুকে জড়িয়ে ধরে ফটো তুলতে আসিনি।”
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নে জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতীক শাপলা কলি নিয়ে পথসভা এবং পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “অন্য নেতারা ওপর থেকে নিচে আসে। আর আমি নিচ থেকে আপনাদের লেভেল হতে ওপরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেছেন। আপনাদের মতো কৃষিজীবী এবং শ্রমজীবী পরিবার থেকে আমি উঠে এসেছি।”
তিনি বলেন, “যারা নেতা বানায়, নেতারা তাদের মানুষ মনে করে না। খেটে খাওয়া মানুষদের তারা নিচু শ্রেণির মানুষ মনে করে। স্টেজে নেতার চেয়ার হচ্ছে বাইশ ইঞ্চি আর কর্মী এবং ভোটারদের জন্য প্লাস্টিকের চেয়ার।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বলেন, “এবার আপনারা চাইলে প্লাস্টিকের চেয়ার থেকে নেতা বানাতে পারেন। আপনারা নেতা নয়, পাহারাদার এবং সেবক বানান, দারোয়ান বানান। নেতাদের কাজ হচ্ছে দারোয়ান এবং পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করা। কিন্তু, জনগণের ভোট নিয়ে তারা নেতা হয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে অ্যাপয়েনমেন্ট লাগে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “এবার আমাদের লড়াই হবে ওপরের স্তর বনাম নিচের স্তর। আমরা যারা রাজমিস্ত্রির পোলাপান, কৃষক শ্রমিকের পোলাপান, আমাদের সঙ্গে এবার লড়াই হবে ওপরের লেভেলের; যারা নির্বাচনের সময় ওপরের লেভেল থেকে নিচের লেভেলে আসে, নির্বাচন শেষ হলে আবার উপরের লেভেলে চলে যায়। তাদের সঙ্গেই আগামীর ভোট হবে।”
এদিন দেবিদ্বার উপজেলার খাদঘর থেকে শুরু করে সূর্যপুর বাজার, ফুলতলী বাজার, সাহারপাড়, সাইতলা বাজার, বরাট স্টেশন, ভানী দক্ষিণ পাড়া, খিরাইকান্দি এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে পথসভা এবং পদযাত্রা করে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় এনসিপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তার সঙ্গে ছিলেন।