শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, নতুন প্রজন্মের তরুণরা এখন চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে চায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঋণ প্রাপ্তি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ পেতে নীতি, তহবিল ও পরামর্শ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে।
শিল্প উপদেষ্টা আজ বুধবার ঢাকায় তেজগাঁওয়ে বিসিক সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের বার্ষিক সম্মেলন এবং ‘৬৯ বছরে বিসিক: অর্জন, সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘‘বিসিকের অনেক জায়গায় শিল্প প্লট খালি পড়ে আছে। প্লটগুলোতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যা রয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে দ্রুতই অনলাইনভিত্তিক ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালু করতে হবে। যারা উদ্যোক্তা না, পূর্বে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় প্লট দেয়া হয়েছে। তাদের প্লট বাতিল করা হবে। জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে আমরা এমন এক বিসিক দেখতে চাই, যা হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং উদ্যোক্তাবান্ধব।’’
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আহসান এইচ. মনসুর ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. নূরুজ্জামান এনডিসি।
আহসান এইচ. মনসুর বলেন, ‘‘উদ্যোক্তাদের যে ঋণ দেয়া হয়, তা খুবই অল্প। আমাদের হাতে পঁচিশ হাজার কোটি টাকা আছে। ঋণ বিতরণেও দুর্বলতা আছে। আমরা ঋণের পরিমাণ বাড়াতে চাই। এ ক্ষেত্রে বিসিকের মতো প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। উদ্যোক্তা ও ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়ে অনলাইন প্লাটফর্মগুলো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে।’’
আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আলোচনা পর্ব শেষে শিল্প উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বিসিক ভবনের নিচ তলায় অনুষ্ঠিত বিসিক বিজয় মেলার স্টল পরিদর্শন করেন ও উদ্যোক্তাদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব রাশিদুল হাসান, বাংলাদেশ জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ বোর্ডের মহাপরিচালক এএসএম শফিউল আলম তালুকদারসহ পরিকল্পনা কমিশন ও অর্থ বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।