সংগঠনের পঞ্চগড় জেলা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে, কমিটি প্রকাশের পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কমিটিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাদেরও পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের স্বাক্ষরে কমিটি অনুমোদন হয়।
এই কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর তালিকায় আছেন ইসমাইল হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। আগে তিনি জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সদস্য ছিলেন জাপার জেলা কমিটির। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়নে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এ কমিটির আরো দুজন যুগ্ম সমন্বয়কারী আগে জাতীয় পার্টিতে ছিলেন। তারা হলেন—আব্দুল লতিফ ও মতিয়ার রহমান।
এনসিপির পঞ্চগড় জেলা কমিটি অনুমোদনের পর থেকে শুরু হয় সমালোচনা। জেলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম শহীদ ফেসবুকে লিখেছেন, “কাউকে ছোট করার জন্য নয়। এটা নীতি-নৈতিকতার প্রশ্ন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হচ্ছে এনসিপি থেকে, আবার ওই দুই পার্টির নেতাদের এনসিপির কমিটিতে নেওয়া হচ্ছে। এদের চিনেন?”
জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক ফেসবুকে লিখেছেন, “জাতীয় পার্টি যদি দোসর হয়, তাহলে জাপার লোক দিয়ে কমিটি কেন? ভাই।”
আরেক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “একদিকে বলছে, জাতীয় পার্টির সাথে কুসুম কুসুম প্রেম চলবে না। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির লোক দিয়ে কমিটি দেয়। এই হলো তাদের চরিত্র।”
এ ব্যাপারে আবু সালেক সাংবাদিকদের বলেছেন, “হাফিজাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনসহ এনসিপির পঞ্চগড় জেলা কমিটির তিনজন আগে জাতীয় পার্টিতে ছিল। তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এনসিপির জেলা কমিটির আরেক যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং সদর উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী তানবীরুল বারী নয়ন বলেছেন, “আমাদেরকে জানানো হয়েছে, তারা কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।”