জাতীয় ক্রিকেট লিগের মৌসুম শেষ হওয়ার পথে। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচির কারণে জাতীয় লিগ কিছুটা আড়াল হয়ে গেলেও ব্যাট-বলের উত্তাপ টিকে ছিল ঠিকই।
বিভাগীয় দলগুলো তুমুল লড়াই করে নিজেদের শিরোপা অর্জনের সুযোগ করে রেখেছে। শেষ রাউন্ডেই হবে শিরোপার ফয়সালা। লড়াইয়ে টিকে আছে চার দল। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট সবার উপরে। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে নবাগত ময়মনসিংহ আছে দুই নম্বরে। ২৩ ও ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ও চারে আছে রংপুর ও খুলনা। নানা সমীকরণে লড়াইয়ে আছে চট্টগ্রামও। তাদের পয়েন্ট ১৯।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, দল জয় পেলে ৮ পয়েন্ট পাবে। ড্রয়ে মেলে ২ পয়েন্ট। টাইয়ে ৪ পয়েন্ট।
২ পয়েন্টের ব্যবধানে থাকা সিলেট ও ময়মনসিংহ পৃথক ম্যাচ খেলবে বরিশাল ও রাজশাহীর বিপক্ষে। শীর্ষ দুই দল পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে শেষ ম্যাচটাতেও উত্তাপ ছড়াবে নিশ্চিতভাবে। ৬ ম্যাচে দুই দলেরই জয় ২টি করে। ড্র-ও ৪টি করে।
জাতীয় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিলেট বিভাগ। ২৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিলেট গত আসরে নিজেদের প্রথম শিরোপা পায়। এবারও তাদের সুযোগ আছে শিরোপা জেতার। জাকির, অমিত, রাহী, নাবিল সামাদরা দলকে সেই পথেই এগিয়ে নিচ্ছেন। শেষ ম্যাচে অসাধারণ ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন অমিত। রাহী জোড়া ইনিংসে পেয়েছেন ফাইফারের স্বাদ।
ময়মনসিংহকে ব্যাটিংয়ে টানছেন নাঈম শেখ। চারশর উপরে রান করেছেন এরই মধ্যে। বোলিংয়ে শুভাগত হোম নিয়েছেন ২১ উইকেট। ঢাকা মেট্রোর পরিবর্তে ময়মনসিংহ প্রথমবার লিগে অংশ নিচ্ছে। শেষ রাউন্ডে নিজেদের প্রত্যাশিত সাফল্যর সঙ্গে যদি বাকি সমীকরণ মিলে যায় তাহলে ময়মনসিংহও পেতে পারে শিরোপা।
এছাড়া শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ। তাদের ম্যাচটি হবে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। বগুড়ায় খেলবে রংপুর ও খুলনা বিভাগ।
সৌম্য সরকার লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৭৭ রান করেছেন। ৫১০ রান নিয়ে দুইয়ে আছেন প্রীতম কুমার। ৪৭২ রান নিয়ে তিনে আছেন জাকির হাসান। বরিশালকে নেতৃত্ব দেওয়া তানভীর ইসলাম ৩১ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষে। নাঈম হাসান ২৬ উইকেট নিয়ে আছেন তিনে। দুই পেসার রবিউল ও রাহী পেয়েছেন ২২টি করে উইকেট।