লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক সবুজ মিয়ার (৩০) মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে তারা।
এর আগে, একইদিন ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের শমসেরনগর সীমান্তের ৮৪৬ নং সীমানা পিলারের কাছে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন সবুজ। তিনি একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন: পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
বিজিবি জানায়, সবুজ মিয়া সঙ্গীদের নিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু পারাপারের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় সীমান্তে টহলরত বিএসএফের একটি দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই সবুজ মিয়া মারা যান। তার সঙ্গীরা দ্রুত সেখান থেকে সরে যান।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নাজিরগোমানী বিওপির সীমান্ত পিলার ৮৬৮/৩-এস এর নিকটবর্তী ব্রিটিশরোড নামক স্থান দিয়ে মরদেহটি ফেরত দেয় বিএসএফ। পরে মরদেহটি নিহতের বড়ভাই আরিফ হাসানের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পাটগ্রাম থানা পুলিশ এবং নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
৬১ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম মোবাইলে বলেন, “বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। মরদেহটি ফেরত আনার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। রাতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি ফেরত আনা হয়েছে।”