খেলাধুলা

আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাইজুল

ঘরের মাটিতে টেস্টে নির্ভরতার নাম তাইজুল ইসলাম। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশ দলকে যেভাবে কাঁধে তুলে রাখছেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সিরিজে সেটিরই আরেকটি উজ্জ্বল প্রমাণ মিলল। সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট ঝুলিতে ভরে বাংলাদেশকে ধবলধোলাইয়ে নেতৃত্ব দেয়ার পুরস্কার হিসেবে এই বাঁহাতি স্পিনার জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায়।

তবে মাসসেরা হতে হলে পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আছেন দুজন শক্তিশালী স্পিনার- দক্ষিণ আফ্রিকার অফ স্পিন সেনসেশন সাইমন হারমার এবং পাকিস্তানের বাঁহাতি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ।

নভেম্বরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় তাইজুলকে মনোনয়ন দিয়ে আইসিসি লিখেছে, “ঘরের মাঠে নির্ভরযোগ্য ম্যাচজয়ী হিসেবে নিজের সুনাম আরও পাকাপোক্ত করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার।”

আয়ারল্যান্ড সিরিজে তিনি শুধু ম্যাচ জেতাননি, গড়েছেন বড় মাইলফলকও। ৫৭তম টেস্ট খেলে উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০, যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। এতদিন ২৪৬ উইকেট নিয়ে শীর্ষে ছিলেন সাকিব আল হাসান।

হারমার-নওয়াজ বড় চ্যালেঞ্জ তাইজুলের জন্য: দক্ষিণ আফ্রিকার সাইমন হারমার গত মাসে ভারতের মাটিতে একাই বদলে দিয়েছেন সিরিজের রূপ। মাত্র ৮.৯৪ গড়ে ১৭ উইকেট (প্রথম টেস্টে ৮টি এবং দ্বিতীয় টেস্টে ৯টি) নিয়েছেন। সিরিজসেরা হয়ে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করানোর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান তারই।

অন্যদিকে পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে শিরোপা জয়ের পথে নেন সর্বোচ্চ ১০ উইকেট।

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনবার পেয়েছে আইসিসির মাসসেরা পুরস্কার। তাইজুল এই পুরস্কার জিততে পারলে হবেন দেশের চতুর্থ ক্রিকেটার। এর আগে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ আইসিসির মাসসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন। মিরাজ এ তালিকায় যুক্ত হন গত মে মাসে।