সারা বাংলা

সেতুর পাটাতন ভেঙে হবিগঞ্জ সদরের সঙ্গে দুই উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ

হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে রত্না বেইলি সেতুর পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় হবিগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনও এ সড়ক ব্যবহার করেন। ৫ লক্ষাধিক মানুষ এখন ফেরিতে করে দ্বিগুণ সময় ও অর্থ ব্যয় করে যাতায়াত করছেন।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে বানিয়াচংগামী ভারী ট্রাক সেতুতে উঠলে রত্না বেইলি সেতুর মাঝখানের পাটাতন ভেঙে যায়। এরপর থেকেই যান চলাচল বন্ধ আছে। 

সেতুর পাটাতন ভাঙায় দুই পারে আটকে থাকা যাত্রী ও যানবাহন নদীপথে পারাপার করছেন। রত্না নদীতে অস্থায়ী ফেরি চালু হয়েছে। একটি বাইসাইকেল পার করতে ৫০ টাকা দিতে হচ্ছে। পণ্যের ক্ষেত্রে ওজন অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সময়ও দ্বিগুণ লাগছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরা দুই ধাপে ভাড়া দিচ্ছেন।

সেতুর মাঝখানের পাটাতন দেবে গেছে। সেখানে হাঁটারও সুযোগ নেই। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মীরা ট্রাকের মাল সরিয়ে সেতু মেরামতের চেষ্টা করছেন। দুই পাড়ে ফেরির অপেক্ষায় আছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।

পত্রিকার এজেন্ট মোস্তাকিম আহমদ জানিয়েছেন, সেতু ভাঙায় বাইসাইকেলসহ ফেরি পার হতে ৫০ টাকা দিতে হয়েছে।

স্থানীয় উদ্যোক্তা ফারুক আহমেদ বলেছেন, “মোটরসাইকেলসহ পার করতে ১০০ টাকা লেগেছে। অটোরিকশাগুলোকে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকেও দুই দফায় বাড়তি ভাড়া নিতে দেখেছি। ফলে, চালকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন যাত্রীরা।”

বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী বলেছেন, “নির্ধারিত ওজনের বেশি পণ্য নিয়ে ট্রাক ওঠায় ব্রিজটি ভেঙে গেছে। সওজ আজকের মধ্যেই যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”