নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পাঠাত্তা এলাকায় গভীর রাতে অবৈধ গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতের এই ঘটনায় ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিনের পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজিম উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিনের ফ্ল্যাটে দীর্ঘক্ষণ গ্যাস জমে থাকার পর হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে আশপাশের মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে ছুটে আসেন এবং দ্রুত আহতদের উদ্ধার করেন।
দগ্ধরা হলেন, আলাউদ্দিন (৩৫) তাঁর মা জরিনা বেগম (৬৫) আলাউদ্দিনের দুই কন্যা-শিশু শিফা আক্তার (১৪) ও শিমলা আক্তার (৪)। তাদের সবাইকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, আহতদের শরীরের উল্লেখযোগ্য অংশ পুড়ে গেছে এবং তাদের নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে।
ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও গ্যাস লাইন মিস্ত্রীরা এখনো ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি। গ্যাস লিকেজের উৎস শনাক্তের কাজ শুরু করা উচিত বলে জানান এলাকাবাসী।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের লাইনে দীর্ঘদিন ধরে লিকেজ থাকায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটে। কেউকেউ বলছেন যেহেতু ঘরের মোবাইল ফোন গলে গেছে, সে হিসেবে মোবাইল ফোন বিস্ফোরণের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গ্যাসের চাপ কম থাকায় অনেক সময়ই চুলা জ্বলে না এবং লিকেজের সমস্যা হরহামেশাই ঘটে। তারা কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, গভীর রাতে ঘটনার পরপরই দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিস্তারিত বলা যাবে।