আন্তর্জাতিক

ভারতে অবস্থানের ব্যাপারে শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন: জয়শঙ্কর

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে কতদিন অবস্থান করবেন সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে। 

শনিবার এইচটি লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির সিইও এবং প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালকে তিনি এ কথা বলেছেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে শত শত মানুষ মারা যায় এবং হাজার হাজার আহত হয়। তার সরকারের নৃশংস দমন-পীড়নের জন্য ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ দায়ে ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনাকে গত মাসে ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

রাহুল কানওয়ালের সাথে কথা বলার সময় জয়শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে হাসিনা ‘যতদিন চান’ ভারতে থাকতে পারবেন কিনা।

জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “আচ্ছা, এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এখানে এসেছিলেন এবং আমি মনে করি সেই পরিস্থিতি স্পষ্টতই তার সাথে যা ঘটেছে তার একটি কারণ। কিন্তু আবারও বলছি, এটি এমন একটি বিষয় যেখানে তাকে তার মন তৈরি করতে হবে।”

ওই আলোচনায় নয়াদিল্লি-ঢাকার সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর। বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে ভারতের অবস্থানের ওপর জোর দেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আমরা যা শুনেছি তা হলো; বাংলাদেশে, বিশেষ করে যারা এখন ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের আগের নির্বাচনগুলো কীভাবে হয়েছে; সে বিষয়ে আপত্তি ছিল। এখন, যদি সমস্যাটি নির্বাচন নিয়ে হয়, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।”

জয়শঙ্কর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তব্য শেষ করেন। প্রতিবেশীর প্রতি ভারতের গণতান্ত্রিক অগ্রাধিকারের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা যতদূর সম্ভভ বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করি। আমরা মনে করি একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে, যেকোনো গণতান্ত্রিক দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা নিশ্চিত হতে চায়।”

তিনি বলেন, “আমি বেশ আশাবাদী, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকে যে সরকারই আসুক না কেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে তাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও পরিপক্ক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে এবং আশা করি পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”