সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইএল টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজুর রহমানকে সরাসরি চুক্তিতে দলে নেয় দুবাই ক্যাপিটালস। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল দিল্লি ক্যাপিটালসের মালিকেরই দল দুবাই ক্যাপিটালস।
অভিষেকে বেশ ভালো বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর। বল হাতে পেয়েছেন ২ উইকেট। সতীর্থ জিমি নিশাম ক্যাচ মিস না করলে আরো ১টি উইকেট বাড়ত তার। ৪ ওভারে ২৬ রানে তার শিকার ২ উইকেট। ধারাবাহিক বোলিং করতে থাকা এই পেসার গতকালই দলের সঙ্গে যোগ দেন। মাঠে নেমেই নিজের ছাপ রাখেন দৃঢ়ভাবে। কিন্তু তার রঙিন অভিষেকের ম্যাচে হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস।
গালফ জায়ান্টস ৪ উইকেটে হারিয়েছে দুবাইকে। দুবাইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুবাই ক্যাপিটালস ৬ উইকেটে ১৬০ রান করে। জবাব দিতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গালফ। ২ ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে দুবাইয়ের এটি দ্বিতীয় পরাজয়। জয়ের খাতা খোলার অপেক্ষায় তারা।
স্কোরবোর্ডে লড়াকু পুঁজি নিয়ে মোস্তাফিজুরের লড়াই শুরু হয়। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। বল হাতে নিয়েই উইকেটের স্বাদ পেয়ে যান। কিছুদিন আগে চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন। সেই ফর্মই টেনেছেন দুবাইয়ের জার্সিতে। তার বলে মিড অনে ক্যাচ দেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কিন্তু শুরুর ওভারটা ভালো করে শেষ করতে পারেননি। পাথুম নিশাঙ্কা ওই ওভারে একটি চার ও ছক্কা আদায় করে নেন।
পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আবারও বোলিংয়ে আসেন বাঁহাতি পেসার। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার হজমের পরও ৫ বলে মোস্তাফিজুর রান দিয়েছিলেন ৬। শেষ বলে উইকেটের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তার স্লোয়ারে ক্যাচ তোলেন ভিঞ্চ। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে নিশাম ক্যাচ ফেলে দেন। বল গড়িয়ে যায় বাউন্ডারিতে। দুই ওভারেই মোস্তাফিজুর দেন ২১ রান।
১২তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে বাংলাদেশের তারকা পেসার দলকে এগিয়ে নেন। উড়তে থাকা নিশাঙ্কাকে আউট করেন নিজের প্রথম বলে। ৩১ বলে ৬৭ রান করা নিশাঙ্কা ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ওই ওভারে ২ রানের বেশি দেননি তিনি। এরপর ষোলোতম ওভারে ফিরে বোলিংয়ে দেন ৩ রান।
পৃথক চার ওভারের স্পেলে ১৩ বল ডট করেছেন। হজম করেছেন ৩ চার ও ১ ছক্কা। নিজের অভিষেকটা দারুণভাবে রাঙালেও দল হারায় দিন শেষে মাটি হয়েছে মুখে হাসি।