সারা বাংলা

বিএনপির একাংশ ফ্যাসিস্ট আ.লীগের মতো রাজনীতি করছে: ফুয়াদ  

আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, বিএনপির ছোট একটি অংশ সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতোই রাজনীতি করে যাচ্ছে। দলের পক্ষ থেকে এদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহত না করলে আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি দিনে দিনে ভোট কমে যাবে বিএনপির। এভাবে চলতে থাকলে ফ্যাসিস্টদের মতো তাদেরও পরিণতি হবে। 

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। 

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাবুগঞ্জে ব্রিজ উদ্বোধনকালে বিএনপির কিছু ব্যক্তি আমাকেসহ আমার এবি পার্টির নেতাকর্মীদের পুলিশ প্রশাসনের সামনে লাঞ্ছিত করেছে। বিষয়টি ছিল ফৌজদারি অপরাধ। পুলিশের সামনে ঘটায়, তারা আইনি পদক্ষেপ নিতে পারত। কিন্তু, পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থেকে শুধু ২-৩ বার বাঁশি বাজিয়েছে। নির্বাচনের আগেই পুলিশের এমন ভূমিকা! পরবর্তীতে তাদের ভূমিকা কেমন হবে? যখন যে দল আসে, পুলিশ তখন সেই দলের দালালি করে। এমনটা চলতে থাকলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।  

তিনি বলেন, এ ঘটনার দুই দিন আগে মুলাদি উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিল এলজিআরডি সচিব, ডিসিসহ জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা। সে অনুষ্ঠানও পণ্ড করে দিয়েছে বিএনপির ছোট একটি অংশ। 

বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে, তাই এই দলের নেতাকর্মীরা ছোট দলের সাথে ভালো আচরণ করে তাদের সহযোগিতা করবে এবং যারা হামলা-নির্যাতন করে তাদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে, এমন আশা ব্যক্ত করেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।

সংবাদ সম্মেলনে ফুয়াদ আরো বলেন, বরিশালের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের জন্য যে চীনা কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে, তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে, যোগাযোগের যে ভাষা ছিল, তাতে চীনা কোম্পানি মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। কোনো দল বা ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলিনি। সেতু উদ্বোধন শেষে আমাকে ঘুসি মারার চেষ্টা করা হয়েছে। হেনস্তা করা হয়েছে। গত দুই মাস যাবৎ আমার ক্যাম্পেইনে নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। 

হামলার সঙ্গে জড়িতদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

দেশে এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, অভিযোগ করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে একটা ভালো নির্বাচন হবে, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য যার যেখানে যতটুকু দায়িত্ব আছে, তার সেই দায়িত্ব পালন করা উচিত। নির্বাচন কমিশনের একটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভোটের পরিবেশ এনসিওর করা। এখনো অনেকে ভোটার হতে পারিনি। তাদের জন্য সময় বৃদ্ধি করতে হবে।