সুমাইয়া মাতসুশিমা-বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রথম প্রবাসী ফুটবলার। জন্ম, শৈশব ও কৈশোর জাপানের নাগোয়া শহরে কাটালেও সুমাইয়া মাতসুশিমা এখন পুরোদস্তুর বাংলাদেশি। জাপান ও বাংলাদেশ দুই দেশেরই পাসপোর্ট আছে তার। তবে বাবার জন্মভূমি বাংলাদেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা তৈরি হওয়ায় এ দেশেই থেকে গেলেন তিনি।
বাংলাদেশকে হৃদয়ে লালন করেন বলেই কেনাকাটায় তিনি বাংলাদেশি ব্র্যান্ডের উচ্চ গুণগতমানের পণ্যকে বেছে নেন। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় বাবার বাড়িতে স্থাপনের জন্য টেক জায়ান্ট ওয়ালটন ব্র্যান্ডের আন্তর্জাতিকমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির লিফট কেনেন সাফজয়ী ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুশিমা।
এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন হাই-টেকের করপোরেট অফিসে ওয়ালটন লিফট এবং সুমাইয়া মাতসুশিমার মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওয়ালটন লিফটের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটন লিফটের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) জেনান-উল ইসলাম।
সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক সাফজয়ী ফুটবলার সাবিনা খাতুন ও মাসুরা পারভিন, সুমাইয়ার বাবা মাসুদুর রহমান, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আনজুম, চিফ মার্কেটিং অফিসার জোহেব আহমেদ, লিফটের হেড অব সেলস আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নুরুল হাসান শাহান এবং ওয়ালটন লিফটের ব্র্যান্ড ম্যানেজার বিজয় ইসলাম আরিফ।
অনুষ্ঠানে সুমাইয়া বলেন, “আমরা অনেক খোঁজখবর নিয়েই ওয়ালটনের লিফট কিনেছি। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ওয়ালটন তাদের নিজস্ব প্ল্যান্টে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির লিফট তৈরি করছে। যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ওয়ালটন লিফটের বিক্রয়োত্তর সেবা অনেক উত্তম। তাই বাড়িতে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন লিফট বেছে নিয়েছি। ওয়ালটনের লিফট কিনতে পেরে আমার পরিবার খুবই আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশীয় পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সবার উচিৎ দেশে তৈরি পণ্য ব্যবহার করা। যা কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য খুবই ইতিবাচক। এতে দেশের অর্থনীতি নতুন মাত্রা পাবে।”
ওয়ালটন লিফটের সিবিও জেনান-উল ইসলাম বলেন, “ওয়ালটন সর্বদা নতুন নতুন প্রযুক্তি পণ্য উদ্ভাবন ও উৎপাদনে সচেষ্ট। এরই প্রেক্ষিতে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের পাশাপাশি দেশে ওয়ালটনই প্রথম উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন লিফট উৎপাদন শুরু করে।”
“ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ওয়ালটন লিফট স্থাপন করা হয়েছে। ভালো সার্ভিসও দিচ্ছে এসব লিফট। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে লিফট বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এতে এ খাতের আমদানি নির্ভরতা দূর হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারেও আন্তর্জাতিকমানের লিফট সরবরাহ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে ওয়ালটন লিফটের।”
তিনি বলেন, “ওয়ালটন লিফটে আস্থা রাখায় জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় সুমাইয়া মাতসুশিমাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের প্রত্যাশা, এর মাধ্যমে দেশীয় ক্রেতারা ওয়ালটন লিফট কেনায় ভরসা পাবেন।”
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে সর্বোচ্চ মানের কাঁচামাল, অত্যাধুনিক মোটর এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের লিফট তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে ওয়ালটনের বিভিন্ন ধরনের লিফট পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে প্যাসেঞ্জার ও কার্গো লিফট, হাইড্রোলিক কার লিফট, হোম, হাসপাতাল ও ক্যাপসুল লিফট। এসব লিফট বাসাবাড়ি, বহুতল বিপণিবিতান, হাসপাতাল ও শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।