ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলমের ফেসবুক পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) শাখা সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও সেক্রেটারি ইউসুফ আলীর যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দু'পক্ষের সংঘর্ষে একজন শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের নৃশংস ঘটনা আড়াল করতে এবং ক্যাম্পাসগুলোতে একের পর এক ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা শিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপরাজনীতি করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা আলম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাজিদ হত্যাকাণ্ড ইস্যুর দায় শিবিরের ওপর চাপিয়ে তেজগাঁও কলেজে শিক্ষার্থী খুনের ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছেন।”
তারা আরো বলেন, “গত ১৭ জুলাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার এবং দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির শুরু থেকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, সাজিদের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কিছু মহল ও ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের উপর এ ঘটনার দায় চাপিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশেষ করে তদন্ত চলাকালীন সময়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেত্রী মানসুরা আলমের এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ ছাত্রদলের ঘৃণ্য লাশের রাজনীতি ও রাজনৈতিক অপপ্রচারেরই একটি অংশ।”
বিবৃতিতে ছাত্রদল নেত্রীর এমন অসত্য বক্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করে সুস্থ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ছাত্ররাজনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার শিক্ষার্থী সাজিদকে শিবির মেরেছে দাবি করে এক ফেসবুক পোস্ট দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম।
তবে এ বিষয়ে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা জানান, যারা নির্দিষ্ট করে এসব বলছে বা লিখছে, তা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এমন তথ্য পেলে এতদিনে চিহ্নিত করে জড়িতদেরকে গ্রেপ্তার করা হতো