রাজনীতি

শত্রুরা আরো হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে, আশঙ্কা মির্জা ফখরুলের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে নতুন করে সহিংসতা এবং আরো হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আশঙ্কা ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে শত্রুপক্ষ আবার হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে এবং সামনে আরো হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।”

রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেন বিএনপির মহাসচিব। 

মির্জা ফখরুল বলেন, “ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের মানুষ আবার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখছে কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা ক্ষ্য করছি, একটি মহল সেই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। শত্রুরা আবার হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে। আমরা আশঙ্কা করছি, সামনে আরো হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।”

“দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে বিএনপি কোনো আপস করবে না। আমরা যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখব। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে রক্ষা করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য,” বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার দমন করতে নানা ধরনের চক্রান্ত চললেও শেষ পর্যন্ত জনগণই বিজয়ী হবে “

“সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করবে। যথাসময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে,” বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “অতীতের মতো এবারও একটি গোষ্ঠী সহিংসতা ও ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে জনগণ এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকলে গণতন্ত্রকে কেউ রুখতে পারবে না।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে বুদ্ধিবীজী হত্যায় মেতে ওঠে হানাদার বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকায় থাকা বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

আজ ১৪ ডিসেম্বর। দিনটতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে বাংলাদেশ।

এদিন সকালে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে স্মৃতিসৌধ দুটি সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।