আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং পরিবেশ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে অনুকরণীয় ভূমিকা রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) বিশেষ সম্মাননা পেয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে থার্টি-ফাস্ট নাইটসহ বিভিন্ন উৎসবে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের হাতে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট তুলে দেন। সম্মাননাপত্রে উল্লেখ করা হয়, আতশবাজি ও ফানুস ব্যবহারের ফলে বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, রাসায়নিক দূষণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে পাখি ও বন্যপ্রাণীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং প্লাস্টিক ও কঠিন বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। এসব বাস্তবতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগ পরিবেশবান্ধব ও নৈতিক নেতৃত্বের অনন্য উদাহরণ।
স্মারকে আরো বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সাহসী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়বদ্ধতা ও নৈতিক নেতৃত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে পরিবেশ বিষয়ক সেমিনার, র্যালি এবং ‘ক্লিন ক্যাম্পাস, ‘গ্রীন ক্যাম্পাস, ‘দূষণমুক্ত ক্যাম্পাস’ ও ‘পাখিবান্ধব ক্যাম্পাস’ শীর্ষক বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে।
আরববি কালচার সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এসব পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এস্টেট অফিস, পরিবেশ সংসদ, গ্রীন ফিউচার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ইকোলজিক্যাল রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের সহযোগিতায় কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।