খেলাধুলা

হার্মারের কাছে হার মানলেন তাইজুল

সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে মূল ভূমিকা রেখে ‘আইসিসি প্লেয়ার্স অব দ্য মান্থ’ এর পুরস্কার জিতে নিলেন অভিজ্ঞ অফস্পিনার সাইমন হার্মার। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের তালিকায় তিনি বাংলাদেশের তারকা স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং পাকিস্তানের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো এই সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করলেন।

দীর্ঘ ২৫ বছরের মধ্যে এশিয়ার মাটিতে প্রোটিয়ারা প্রথমবার কোনো টেস্ট সিরিজ জেতে হার্মারের জাদুকরী পারফরম্যান্সের সুবাদে। এই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৩৬ বছর বয়সী এই স্পিনার মাত্র ৮.৯৪ গড়ে ১৭টি উইকেট শিকার করে সিরিজ সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন।

পুরস্কার জয়ের পর হার্মার তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমার জন্য এটা বিশাল সম্মানের। দেশের হয়ে খেলা সব সময়ই স্বপ্ন, এর সঙ্গে এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া সত্যিই বাড়তি প্রাপ্তি।’’

নভেম্বরের সেরার দৌড়ে তাইজুল ইসলাম ছিলেন অন্যতম শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয়ে তিনি ২৬.৩০ গড়ে ১৩টি উইকেট নিয়েছিলেন এবং সিরিজ সেরাও হন।

সিলেটে ৫ উইকেট শিকার করার পর মিরপুরে তাইজুল ছিলেন আরও দুর্ধর্ষ। দুই ইনিংসেই নেন ৪টি করে উইকেট। ওই ম্যাচ চলাকালেই বাঁহাতি এই স্পিনার টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার রেকর্ড গড়েন। যা তিনি ভেঙে দেন সাকিব আল হাসানের (২৪৬ উইকেট) দীর্ঘদিনের রেকর্ড। ৫৭ টেস্টে তার শিকার এখন ২৫০ উইকেট, যার মধ্যে ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭ বার এবং ম্যাচে ১০ উইকেট পেয়েছেন দুবার।

সেরা তিনে ছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজও। তিনি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ওয়ানডেতে ১১৪.২৮ স্ট্রাইক রেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করেন এবং ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১১টি উইকেট নেন মাত্র ১২.৭২ গড়ে।

হার্মার, তাইজুল এবং নওয়াজ- তিনজনেরই পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের নায়ক হার্মারই শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট অর্জন করলেন।