জাতীয়

ভারতে বাংলাদেশের ৫৫তম বিজয় দিবস উদযাপন

বাংলাদেশের পাশাপশি ভারতেও উদযাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশের ৫৫তম বিজয় দিবস। দিনটি জাঁকজমকের সঙ্গে উদ্‌যাপন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড। 

পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দপ্তর কলকাতার বিজয় দুর্গে (ফোর্ট উইলিয়াম) মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজয় দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে যোগ দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল। 

এদিন ফোর্ট উইলিয়ামে বিজয় স্মারকস্তম্ভে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধিরা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীরদের স্মৃতির প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের যোদ্ধাদের যৌথ লড়াইকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে এই যৌথ বাহিনীর হাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়।

বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতোই চার দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরফে হাজির ছিলেন আটজন মুক্তিযোদ্ধা, দুজন সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।  

কলকাতায় বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম লুৎফর রহমান ও মেজর শের-ই-শাহবাজ এবং তাদের স্ত্রীরা। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন মো. হাবিবুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর অলিক কুমার গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর কামরুল আবেদিন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মনীষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুল হাকিম, অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামছুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল শফি।

এর আগে সোমবার সকালে কলকাতায় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিদলটি কলকাতার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে তার দপ্তরে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কমান্ডের উদ্যোগে কলকাতার বিজয় দুর্গের মঙ্গল পাণ্ডে মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়াতে আয়োজিত বর্ণাঢ্য মিলিটারি ট্যাটুতেও অংশ নেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলটি। 

দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, ত্রিপুরা ও গুয়াহাটির বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশন ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস উদ্‌যাপন করেছে। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রাখা হয়েছে।