শীতকালে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে কারণ ঠান্ডার প্রভাবে রক্তনালী সংকুচিত হয়। শীতকালে বায়ুমণ্ডলীয় চাপের পরিবর্তন ঘটে, বাতাস শুষ্ক থাকে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়, যা মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ও অক্সিজেনের সরবরাহ কমিয়ে দেয় এবং মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে।
শুষ্ক বাতাস ও আর্দ্রতার অভাব হিটারের ব্যবহার বা শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে, যা মাইগ্রেন ও মাথাব্যথার একটি সাধারণ কারণ।
আলোর সংবেদনশীলতা শীতকালে দিনের আলো কম থাকে এবং কৃত্রিম আলোর নিচে বেশি সময় কাটালে (স্ক্রিন/লাইট) তা মাইগ্রেন বাড়াতে পারে।
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা শীতকালে অনেকেই কম সক্রিয় থাকেন, যা মাইগ্রেনকে প্রভাবিত করতে পারে।
রুটিনের পরিবর্তন ছুটির দিনগুলোতে বা অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া, ঘুম ও কাজের অভ্যাস মাইগ্রেন বাড়িয়ে দেয়।
স্নায়ুর উদ্দীপনা ঠান্ডা সরাসরি ট্রাইজেমিনাল নার্ভকে উদ্দীপিত করতে পারে, যা মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথার কারণ হয়।
করণীয় এক. মাথা ও ঘাড় ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য টুপি বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন।
দুই. ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত জল পান করুন।
তিন. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করুন।
মাইগ্রেন বারবার হলে বা তীব্র হলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।