ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন আগের কার্যদিবসের চেয়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। একইসঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। বুধবার সকাল থেকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। তবে, লেনদেন শুরুর পৌনে ৩ ঘণ্টা পর থেকে সূচক পতনমুখী হতে শুরু করে। লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তা পতনমুখী অবস্থায় ছিল।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৬.১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৫৩ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.৫৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৭.৯৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪৮টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৩টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪১৩ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬.০৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৪৪১ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৬.২৪ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৬৯৪ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৭২ পয়েন্ট কমে ৮৬৪ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯.৮৫ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ১৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৪১টি কোম্পানির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬টির।
সিএসইতে ৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।