খাগড়াছড়িতে ৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব ইটভাটা। বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না থাকায় জেলার ৪৯টি ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে দিশেহারা ইটভাটার মালিক, ঠিকাদার, রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিক এবং ট্রাক্টর চালকরা। কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ার কারণ সামনে এনে সব ইটভাটা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কুসুম উদ্দিন, ট্রাক্টর চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হারুন উর রশিদসহ ৬টি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেছেন, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না থাকলেও ভাটার মালিকরা সরকারের সব নিয়ম মেনে, ট্যাক্স ও আয়কর দিয়ে আসছিলেন। অনুমতির জন্য বার বার আবেদন করা হলেও মেলেনি। দেশের সব জেলায় ইটভাটা চালু থাকলেও শুধুমাত্র খাগড়াছড়িতে প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না। এ অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অন্য জেলা থেকে ইট নিয়ে এসে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক, ট্রাক্টর চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিবৃতিতে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব ইটভাটা খুলে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আমরণ অনশনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ১৩ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশনায় খাগড়াছড়ির সব অবৈধ ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন।