ক্যাম্পাস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বর্ণাঢ্য একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়। কৃষি সংশ্লিষ্ট নানা রঙ্গীন ফেস্টুন নিয়ে শিক্ষার্থীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।  শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জি কে গউছ, হবিগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক ইসলাম তরফদার তনু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হবিগঞ্জ জেলা শাখার আমীর মাওলানা মুখলিছুর রহমান, সেক্রেটারি কাজী মহসিন আহমেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) হবিগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামসুল হুদা, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদসহ আরো রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বেলুন উড়ানো শেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ বলেন, “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে হবিগঞ্জ তথা হাওরাঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” এ সময়, উপাচার্য উপস্থিত সকলকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর কৃষি শিক্ষা ও কৃষি গবেষণার উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণার কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪ টি অনুষদে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেশ কিছু গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি অনুষদের ২৩ জন শিক্ষক গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পে অন্দুান পেয়েছেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম হাতে-কলমে পরিচালনার জন্য আধুনিক গবেষণা সরঞ্জামাদিসহ উন্নতমানের ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জার্ম প্লাজম সেন্টার।