খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেছেন, নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা যদি আবেদন করেন তাহলে তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) প্রেস কনফারেন্স কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
কেএমপি কমিশনার জানান, আবেদনে প্রার্থীদের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যে তারা কী ধরণের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এরপর বিষয়টি পুলিশ গোয়েন্দা ইউনিট, সিটিএসবি তদন্ত করবে। তদন্তে হুমকির বিষয়টি নিশ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।
নির্বাচন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “ইনশাআল্লাহ, নির্বাচনে নাশকতা করার ক্ষমতা কারোর নেই। অন্তত খুলনা মহানগরীতে আমি এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না।”
তিনি জানান, সরকার নির্বাচনের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিয়েছে। আজ বুধবার সকালে খুলনায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী পুলিশদের জন্য তিন দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মধ্যে রয়েছে বডি ক্যামেরার ব্যবহার, যেকোনো পরিস্থিতিতে ভোটদান বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণের কৌশল এবং অন্যান্য দিক। এই প্রশিক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করা হচ্ছে এবং প্রশিক্ষকদের পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার জানান, তিনি সম্প্রতি যোগদান করেছেন তবে, তিনি ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন যে শহরে তিনটি অপরাধী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
ডিজিটাল অপরাধ সম্পর্কে তিনি বলেন, “পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। অপরাধীরা প্রযুক্তিগতভাবে আরও উন্নত হয়েছে এবং নিয়মিত ফোন কলের পরিবর্তে হোয়াটসঅ্যাপের মতো এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তা সত্ত্বেও পুলিশের প্রচেষ্টা সক্রিয় রয়েছে।”
আদালত প্রাঙ্গণে সাম্প্রতিক জোড়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। যথাসময়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অপারেশনস) মোহাম্মদ রশিদুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ও প্রোটোকল) মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর) এস. এম. শাকিলুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) টি. এম. রোকনুজ্জামান।