ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক চাহারের বোন, অভিনেত্রী-চলচ্চিত্র নির্মাতা মালতী চাহার। সালমান খান সঞ্চালিত বিতর্কিত টিভি অনুষ্ঠান বিগ বসের ১৯তম আসরে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বিগ বসের ঘর থেকে বেরিয়ে সিদ্ধার্থ কানানকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ আলাপচারিতায় কাস্টিং কাউচের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
কাস্টিং কাউচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মালতী বলেন, “হ্যাঁ, কখনো কখনো এমন হয়। দু-একবার মানুষ তাদের সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। অনেকেই শরীরি ভাষা ও আচরণের মাধ্যমে একজন মানুষের সীমা বোঝার চেষ্টা করেন।”
ইন্ডাস্ট্রির মানুষ অনেক চতুর। এ তথ্য জানিয়ে মালতী বলেন, “এখানকার মানুষ খুবই চালাক। তারা আপনার স্বভাব আর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝে নেয়। দু-একজন সীমা ছাড়িয়েছিলেন। একজন তো দুর্ব্যবহারও করেছিলেন। কিন্তু বেশিরভাগই আমার সীমা বুঝে গিয়েছিলেন।”
মালতী চাহার
পারিবারিক শিক্ষা এসব পরিস্থিতি সামলাতে মালতীকে সাহায্য করেছে। তার বাবা ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। শৃঙ্খলা-স্পষ্টতা তার আচরণ ও কথাবার্তায় প্রতিফলিত হয়; যা অনেক সময় মানুষকে সীমা লঙ্ঘন করা থেকে বিরত রাখে।
মেয়েদের পরামর্শ দিয়ে মালতী বলেন, “মেয়েদের ধরে নেওয়া উচিত যে, কিছু পুরুষ তাদের ক্ষমতা বা অবস্থানের অপব্যবহার করতে পারেন। কারো মিষ্টি কথায় মেয়েদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতা ও দৃঢ় সীমা গুরুত্বপূর্ণ।”
মালতী চাহার
একজন পরিচালক মালতীর সঙ্গে নোংরা আচরণ করেছিলেন। সেই ঘটনাও বর্ণনা করেছেন। তার ভাষায়—“একটি প্রজেক্টের কাজের বিষয়ে কথা বলতে একজন পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিত দেখা হতো। কাজ শেষ হওয়ার পর সৌজন্যতার অংশ হিসেবে পাশ থেকে আমি তাকে জড়িয়ে ধরি। কিন্তু পরিচালক আমার ঠোঁটে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করেন।”
পরের ঘটনা বর্ণনা দিয়ে মালতী বলেন, “আমি পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। কী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে থামাই। তারপর আর কখনো তার সঙ্গে দেখা করিনি।”
মালতী চাহার
সেই পরিচালক মালতীর চেয়ে বয়সে অনেক বড় ছিলেন। কেবল তাই নয়, তাকে গভীরভাবে সম্মান করতেন। মালতী বলেন, “আমি তাকে বাবার মতো মনে করতাম। সেই ঘটনা আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছে—‘কাউকেই উচ্চ মর্যাদায় বসানো উচিত নয়।’ সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আমি কখনো ভাবিনি ওই বয়সের কেউ এমন আচরণ করতে পারেন। আমি ভীষণ রেগে গিয়েছিলাম।”
তথ্যসূত্র: দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল