খেলাধুলা

পুরোনো প্রতিশ্রুতি নতুন করে দিলেন নাজমুল আবেদীন

প্রতিশ্রুতিগুলো পুরোনো। ধুলো জমে গেছে। স্তুপে পরিণত হয়েছে। সেই একই প্রতিশ্রুতি নতুন করেই করলেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম‌্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের দেশের বাইরে ক্লাব ক্রিকেটে খেলার ব‌্যবস্থা করা যায় কি না।’’

বোর্ডের বাইরে থাকা অবস্থায় বোর্ডের সমালোচনা করতেন নাজমুল আবেদীন। এখন তিনি নিজেই বোর্ডে প্রায় দেড় বছর। অথচ লম্বা এ সময়ে বাংলাদেশের কোনো প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারকে বাইরে পাঠানো, বাইরের ক্লাবের সঙ্গে মেলবন্ধন করিয়ে দেওয়া কিংবা বয়সভিত্তিক কোনো দলকে লম্বা সময়ের জন‌্য ট্রেনিংয়ে পাঠানোর কাজটা করতে পারেননি।

তবে তাদের পরিকল্পনায় এমন কিছু আছে সেটা আজ আবারও কথায় টের পাওয়া গেল, ‘‘যেকোনো ক্রিকেটে খেললেই আমাদের খেলোয়াড়ের লাভ হবে। সেটা ইংলিশ কাউন্টি হতে পারে, সেটা যদি সাউথ আফ্রিকায় কেউ একটা ক্লাব ক্রিকেট খেলতে পারে আমাদের, কিংবা অস্ট্রেলিয়াতেও আমরা আলাপ-আলোচনা করছি ওদের যদি ক্লাব ক্রিকেটে আমাদের ইয়াং প্লেয়াররা খেলতে পারে— এই এক্সপোজারগুলো খুব জরুরি কিন্তু।’’ বিসিবির অধীনে চারটি প্রতিযোগিতা হয় সারা বছর জুড়ে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি ফরম‌্যাট। এছাড়া বিপিএল হয় ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট ভিত্তিক। কিন্তু এসব প্রতিযোগিতা খেলে বিশ্বমানের সুযোগ সুবিধা ও প্রতিদ্বন্দিতা পাওয়া সম্ভব না তা খুব ভালোভাবেই জানেন নাজমুল আবেদীন, ‘‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আমরা অনেক কিছু আমাদের খেলোয়াড়দের দিতে পারি না, অনেক এনভায়রনমেন্ট দিতে পারি না, অনেক কম্পিটিটিভ পরিবেশ দিতে পারি না আমরা, যেটা বিদেশে এভেইলেবেল।’’ আফগানিস্তানের উদহারণ দিয়ে তিনি যোগ করেন, ‘‘আমরা যদি আফগানিস্তানের কথা বলি, আফগানিস্তান দলই তৈরি হয়েছে ওইভাবে। সো আমার মনে হয় এই সুযোগগুলো আমাদের নেওয়া উচিত। এর মধ্য দিয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা আরও পরিণত হবে।’’

এবারের বিপিএলে থাকবেন না রিশাদ হোসেন। রিশাদকে বিগ ব‌্যাশ লিগে খেলার অনুমতি দিয়েছে বিসিবি। তার কথা বলতে গিয়ে নাজমুল আবেদীন বলেছেন, ‘‘ রিশাদের এক্সাম্পল দেই, রিশাদ এখন যে অস্ট্রেলিয়াতে আছে, ও যে লাইফ এখন লিড করছে, এই লাইফটা এখানে কোনোভাবেই ও লিড করতে পারবে না। ওর যে এক্সপেরিয়েন্সটা হচ্ছে শুধু খেলার মাঠে না, খেলার মাঠের বাইরে— এটা একটা ট্রিমেন্ডাস এক্সপেরিয়েন্স হচ্ছে ওর। ওর সাথে যোগাযোগ হচ্ছে, সে কারণেই আমি জানি যে এই মুহূর্তে ওর লাইফস্টাইলটা কেমন। এবং এই অভিজ্ঞতাগুলো খুব দরকার। এই অভিজ্ঞতাগুলো আমাদের খেলোয়াড়দের আরও পরিণত করবে, যার মধ্য দিয়ে আমরা আরও ভালো পারফরম্যান্স পাব জাতীয় দলে।’’