জাতীয়

নতুন রূপে যাত্রা শুরু, বিশ্ববাজারে পৌঁছাবে জয়িতার পণ্য: শারমীন

মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “জয়িতা ফাউন্ডেশন নতুন রূপ নিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। এক সময় জয়িতার পোশাক, হস্ত ও কারুশিল্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাবে।”

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডিতে জয়িতা ফাউন্ডেশন ভবনে জয়িতা বিজয় মেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আমাদের আনন্দের পাশাপাশি ত্যাগ ও সংগ্রামের স্মৃতি বহন করে। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে—এ দিন কখনোই মুছে যাওয়ার নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় সারা দেশে জেলা ও উপজেলায় বিজয় দিবস ব্যাপকভাবে উদযাপিত হওয়াও জাতির ঐক্যেরই প্রতিফলন।”

তিনি বলেন, “নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও উদ্যোক্তা বিকাশে জয়িতা ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে এলে পরিবার ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। জয়িতা বিজয় মেলা নারীদের সৃজনশীলতা, পরিশ্রম ও সাফল্যের স্বীকৃতি দেওয়ার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম।

এজন্য নারীদের প্রশিক্ষণ, বাজার সংযোগ ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদারের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ বলেন, “গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে জয়িতার পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে উদ্যোক্তারা সারা বছর দেশীয় পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন।”

তিনি বলেন, “দেশীয় পণ্য ব্যবহারে জনগণের আগ্রহ বাড়ানোই জয়িতা মেলার মূল উদ্দেশ্য।”

মেলায় জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাহিদ মঞ্জুরা আফরোজ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, নারী উদ্যোক্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত নারী উদ্যোক্তারা মেলায় হস্তশিল্প, খাদ্যপণ্য, পোশাক, নকশা ও উদ্ভাবনী পণ্য প্রদর্শন করেন। দর্শনার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে মেলা প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

জয়িতা বিজয় মেলা ১৮ থেকে ২০ ডিসেম্বর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।