সারা বাংলা

কাজ বাগানোর চেষ্টায় ‘ঘুষ দিতে গিয়ে’ ধরা সওজের পিওন

গোপালগঞ্জে ১০ লাখ টাকাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে ধরা পড়েন তারা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার মৃত কালু মোল্যার ছেলে মোশারফ হোসেন (৬০)। তিনি শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে পিওন হিসেবে কর্মরত আছেন। অপরজন শরীয়তপুর পালং থানাধীন দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার মৃত সোহরাব ব্যাপারীর ছেলে মনির হোসেন (৪০)। তিনি প্রাইভেটকারের চালক।

গোপালগঞ্জ পুলিশ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ শহরের পুলিশ লাইন্স মোড়ে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালে একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। এ সময় প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা একটি ব্যাগে ১০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে প্রাইভেটকারের আরোহী মোশারফ হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে তিনি এ টাকা গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনকে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। পরে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা প্রাইভেটকার ও টাকা জব্দ করেন এবং পিওন ও চালককে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে যান।

গোপালগঞ্জে সওজের একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে অভিযোগ করেন, কাজ বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামকে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা ঘুষ আনা হয়েছিল। তবে, ধরা পড়ার পর সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনের ওপর দায় চাপানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে গোপালগঞ্জ সড়ক সার্কেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলামকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাখাওয়াত হোসেন সেন্টু বলেন, ‘‘এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। জব্দকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।’’