শরিফ ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজের এক বার্তায় বলা হয়েছে, “ওসমান হাদিকে যারা খুন করেছে, তাদের হাতে দেশকে তুলে দিয়েন না।”
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে ওই বার্তায় বলা হয়েছে, “ভাঙচুর আর আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তারা মূলত বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করতে চায়। ৩২ আর ৩৬ এক জিনিস না, এইটা আপনাদের বুঝতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর এলে ঢাকাসহ সারা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পাহাড়া থেকে সমতল- সর্বত্র ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। ঢাকায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা, ছায়ানট ভবন ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। চট্টগ্রামে সাবেক মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুর নওফেলের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। ঢাকা-আচিরা মহাসড়ক, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ওসমান হাদির শাহাদাতের জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। ক্ষোভ ও বিক্ষোভে জাগিয়ে রাখে দেশের রাত।
দাবি আদায়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের পথ বেছে নিলেও ধ্বংসযজ্ঞ চায় না ইনকিলাব মঞ্চ।
ফেসবুক বার্তায় হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব মঞ্চ দেশবাসীকে সতর্ক করে জানিয়েছে, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারলে কার কার লাভ, সেটা একবার ভেবে দেখুন!”
পোস্টে বলা হয়, “এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি অভয়ারণ্য, নিয়ন্ত্রণহীন রাষ্ট্র হিসেবে পোট্রে করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যার কোনো সুফল নাই, উল্টো দীর্ঘমেয়াদি দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে যাচ্ছি আমরা।”
“ওসমান হাদি তার এক্টিভিজম, তার রাজনীতির পুরোটা সময়জুড়ে আপনাদেরকে সার্বভৌমত্বের শত্রু চিনিয়েছেন, সেইসাথে তাকে মোকাবিলা করার পথও বাতলে দিয়েছেন, বলা হয় পোস্টে।
ইনকিলাব মঞ্চ বলেছে, “আমাদের সামনে দীর্ঘলড়াই, এটাকে কোনোভাবেই দুই-এক দিনে হাসিল করা সম্ভব না।”
আহ্বান রেখে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটি বলেছে, “বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন। সহিংসতা পরিহার করুন।”