ভারতবিরোধী বক্তব্য পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং প্রতিহত করতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিরাগত প্রচার ও জন কূটনীতি (এক্সপিডি) বিভাগের মধ্যে একটি নিবেদিতপ্রাণ যোগাযোগ ও উপলব্ধি ব্যবস্থাপনা ইউনিট গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। ভারতের একটি সংসদীয় প্যানেল বৃহস্পতিবার এই সুপারিশ করেছে।
‘ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কিছু বাংলাদেশি গণমাধ্যমে ‘ক্রমাগত ভুল তথ্য ও ভারতবিরোধী বক্তব্য’-এর প্রেক্ষিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, লোকসভায় কংগ্রেসের সদস্য শশী থারুরের নেতৃত্বাধীনকে প্যানেলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাগুলির সাথে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচারিত ধারণা ও বক্তব্য মোকাবেলার জন্য এটি সংযোগ সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ট্রেন্ড সহ প্রতিবেদন ও ইনপুটগুলোর ভিত্তিতে, পানিবণ্টন, বন্যার তথ্য ভাগাভাগি, সীমান্ত নিরাপত্তা সমস্যা এবং ভাগ করা সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের সাথে সম্পর্কিত ঘটনা এবং সংবেদনশীলতার মতো বিষয়গুলোতে সঠিক তথ্য প্রচার করা হয় ও ভুল ধারণা দূর করা হয়।”
কমিটি বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি, বিশেষ করে অবকাঠামো, বন্দর উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে শিলিগুড়ি করিডোর এবং বঙ্গোপসাগরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত ও নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে কমিটি।