চতুর্থ টি-টোয়েন্টি পণ্ড হয়ে যাওয়ায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জমে উঠেছিল বেশ। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে সিরিজ ড্র। ভারত জিতলে ৩-১ ব্যবধানে জিতবে সিরিজ। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে নেমে আহমেদাবাদে শেষ হাসিটা ভারতই হেসেছে।
৩০ রানের ব্যবধানে শেষ টি-টোয়েন্টি জিতে টানা অষ্টম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে ভারত। এই ম্যাচে রান উৎসব হয়েছে। আগে ব্যাটিং করতে নেমে ভারত ৫ উইকেটে ২৩১ রান করে। জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে তোলে ২০১ রান।
রান উৎসবের ম্যাচে ঝড় তুলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। পেয়েছেন উইকেটও। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে। ৫টি করে চার ও ছক্কায় মাত্র ২৫ বলে ২৫২ স্ট্রাইক রেটে ৬৩ রান করেন হার্দিক। এরপর বল হাতে ৩ ওভারে ৪১ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।
হার্দিক বাদে ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে দু্যতি ছড়ান তিলক ভার্মা। ৪২ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় তিলক সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন। হার্দিক ও তিলক মিলে ইনিংসের মধ্য অবস্থায় ৭.২ ওভারে ১০৫ রান তুলেছিলেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ভারত ৫.৩ ওভারে ৬৩ রান পায়। সানজু স্যামসান ২২ বলে ৩৭ এবং অভিষেক ২১ বলে ৩৪ রান করেন। শেষ দিকে ৩ বলে ১০ রান করেন শিভাম দুবে। রান পাননি সূর্যকুমার যাদব। ভারতের অধিনায়ক আউট হন ৫ রানে। বল হাতে প্রোটিয়াদের হয়ে কোভিন বোস ৪৪ রানে ২ উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১১৮ রান তুলে নেয়। কিন্তু পরের ৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন হয় তাদের। তাতেই ম্যাচ ভারতের হয়ে যায়।
৪৩২ রানের ম্যাচে বল হাতে পার্থক্য গড়ে দেন জসপ্রিত বুমরাহ। ১৭ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। শতততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা কুইন্টন ডি কক দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন ৯ চার ও ৩ ছক্কায়। এছাড়া ডেয়াল্ড ব্রেভিস ১৭ বলে করেন ৩১ রান।
ভারতের হয়ে বল হাতে বরুণ চক্রবর্তী ৫৩ রানে ৪ উইকেট নেন। ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হয়েছেন তিনি।