রাজনীতি

হাদিকে হত্যার সঙ্গে ভোট পেছানোর ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত থাকতে পারে

শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পেছনে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রকারীরা জড়িত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হাদি হত্যাকাণ্ড সেই গভীর ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ হতে পারে। এর সঙ্গে স্বৈরাচারের দোসর এবং গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সংশ্লিষ্টতা থাকার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

তিনি বলেন, “দেশে গণতান্ত্রিক যাত্রা যখন নতুন করে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই পরিকল্পিতভাবে নৈরাজ্য, হত্যাকাণ্ড ও ভয়ভীতি ছড়ানোর ঘটনা ঘটছে। এর উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করা এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কিংবা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণ এসব ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করবে। গণতন্ত্রবিরোধী সব অপচেষ্টা অতীতেও ব্যর্থ হয়েছে, এবারও ব্যর্থ হবে।”

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার দিন রাজধানীতে লক্ষাধিক মানুষের ঐতিহাসিক সমাবেশ হবে। সেই সমাবেশ থেকেই দেশের বিরুদ্ধে চলমান সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “বিএনপি শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই দলের প্রধান লক্ষ্য। যারা হত্যাকাণ্ড ও অস্থিতিশীলতার মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়, তারা জনগণের কাছে চিহ্নিত হয়ে পড়বে।”

হাদি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো ধরনের ধামাচাপা বা রাজনৈতিক প্রভাব মেনে নেওয়া হবে না।”

তিনি বলেন, “দেশবাসী এখন পরিবর্তন চায়। গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার এই সময় কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না।”