বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবিতে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। শনিবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে কলকাতার বেগ বাগান ও পার্ক সার্কাস সাত রাস্তার মোড়ে জমায়েত করে ‘বাংলা পক্ষ’ নামে একটি সংগঠনের শতাধিক নেতা কর্মীরা।
সাড়ে ৪টার দিকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের দিকে মিছিল করে এগোতে গেলে প্রায় ২০০ মিটার দূরে তাদের আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ।
বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ উপদূতাবাস চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তার ওপর শনিবার ‘বাংলা পক্ষের’ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বেশ কিছুটা দূর থেকেই ব্যারিকেড দেওয়া হয়। সেখানে সংগঠনটির মিছিল আটকে দিলে পুলিশের সাথে সাময়িক ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে সংগঠনটির সদস্যরা। পরে দীর্ঘক্ষণ সেখানেই অবস্থান করেন তারা। সংগঠনটির সদস্যদের দাবি করতে থাকে যেভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল সেভাবেই বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবারো হস্তক্ষেপ করুক ভারত।
‘বাংলা পক্ষের’ কর্ণধার গর্গ চ্যাটার্জি বলেন, “গোটা বিশ্বে ভারতের যে ইমেজ সেটা আমরা নষ্ট করতে চাই না। ইরান যখন মার্কিন দূতাবাস দখল করেছিল, তার ফল সেখানকার মানুষকে ভুগতে হয়েছে। ঢাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসের যে সামনে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে গোটা বিশ্বে ছি ছি পড়েছে। যদিও কলকাতার পুলিশ আমাদেরকে অযথা আটকেছে। আমরা কোন দূতাবাস ধ্বংস করতে যাইনি।”
তিনি বলেন, “আমরা একটা বার্তা দিতে গিয়েছিলাম। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসটি তাদের নিজস্ব জায়গায় অবস্থিত। ওখানে যদি কোন হামলা হয় তবে কোনো পুলিশ আমাদের আটকাতে পারবে না। তখন কোনো পুলিশের কথা শুনব না। বাঙ্গালিদের রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে। সেটা বাংলাদেশের মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হবার জন্য নয়।”