রাজনীতি

সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান রুহুল কবির রিজভীর

সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির যুগ্ম সিনিয়র মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

তিনি বলেন, “সত্য কথা বলার মূল্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক, সম্পাদক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নিপীড়ন, মামলা, হুমকি ও গ্রেপ্তারের যে কালো অধ্যায় দেশ পার করেছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গঠিত অভ্যর্থনা কমিটির আমন্ত্রণে আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর স্বার্থের বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণ করলেই সাংবাদিকদের নিস্তার মেলেনি। সারাদেশে একের পর এক মামলা, জামিন নিতে আদালতে ছোটাছুটি, হুমকি কিংবা গ্রেপ্তার- সব মিলিয়ে ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল।”

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, “শুধু সাংবাদিক নয়-ভিন্নমত প্রকাশকারী বহু মানুষই কোনো না কোনোভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। সেই ভয় ও বিভীষিকার সময় থেকে কিছুটা মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।”

রুহুল কবির রিজভী ওসমান হাদির ওপর হামলা ও পরবর্তী সময়ে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “মত বা বক্তব্যের কারণে জীবন দিতে হবে, এমন বাস্তবতা কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। ভিন্নমত ও মতের পার্থক্যই গণতন্ত্রের ভিত্তি। একটি পত্রিকায় নানা দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পাবে, এই বহুত্বই গণতন্ত্রের শক্তি।”

সভায় বলা হয়, ফ্যাসিবাদ-উত্তর সময়ে গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কিংবা মতপ্রকাশের জায়গার ওপর হামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শুধু স্বীকৃত থাকলেই হবে না, তার পরিণতিও সহনীয় হতে হবে- নইলে দেশ আবার দমন–নিপীড়নের পুরোনো বৃত্তে ফিরে যাবে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন পাভেলসহ বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওতে কর্মরত সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।