বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে সিলেটে। ছয় দল নিয়ে হচ্ছে এবারের আসর। বিপিএলকে এবার বিতর্কমুক্ত রাখতে এবং বাড়তি সতর্কতার জন্য প্রত্যেক দলে একজন করে সিআইডি কর্মকর্তা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এরই মধ্যে সিআইডি বিভাগের সঙ্গে বিসিবির ইন্ট্রেগ্রিটি ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শালের মিটিং হয়েছে। আইসিসির সাবেক দুর্নীতি বিভাগের প্রধান কিভাবে কাজ করা হবে সেই দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট যেন কোনোভাবেই কলুষিত হতে না পারে সেজন্য বিসিবি জোর দিয়ে কাজ করছে বলেই জানালেন ইফতেখার করহমান। কোনো ফাঁক রাখতে চাচ্ছেন না আয়োজকরা। সোমবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘অ্যালেক্স মার্শাল বলে দিয়েছে, এই ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স এবং তার গাইডলাইন অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। এই দুই-তিন দিন আগেও দলের মালিকপক্ষদের সঙ্গে বসা হয়েছে। আমাদের যে পিএমও (প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিসিয়ালস) অ্যাকসেস, এটাকে ছোট করে আনা হয়েছে। ২৫টা করে চেক করার পরে ২৫টা করে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া হচ্ছে।”
“অ্যান্টি করাপশন বলেন, আর ইন্টেগ্রিটি ইউনিট বলেন, তারা কিন্তু সত্যিই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করবে এবং তাদের নির্দেশনা হচ্ছে এরকম। পাশাপাশি আপনারা জানেন যে, আমরা আইসিসি থেকেও অ্যান্টি করাপশন ম্যানেজারদের আনছি। আমাদের ইউনিটও থাকবে, আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটও থাকবে। এছাড়াও কালকে সিআইডির সঙ্গে কালকে একটা বড় মিটিং হয়েছে, একটা এমওইউ (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং) হচ্ছে, সিআইডির লোকজনও থাকবে।” – যোগ করেন তিনি।
সিআইডির কাজের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইফতেখার রহমান বলেছেন, ‘‘সিআইডির কাজ মনিটর করা। মানে ব্যাপারটা হচ্ছে কী, কোনো ঘটনা যেন না ঘটে। ধরেন চোর আসবে, তাকে চুরি করার আগে তো থামাতে হবে। এই প্রক্রিয়াই আমরা অনুসরণ করছি, গোটা বিশ্বে যা অনুসরণ করা হয়।”
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বাদশ আসরে অংশ নিতে পারছেন না এনামুল হক বিজয় ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুধু তারাই নন, শফিউল ইসলাম, আলাউদ্দিন বাবু, সানজামুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন খান ও নিহাদুজ্জামান অংশ নিতে পারছেন না বিপিএলে। ফিক্সিং সন্দেহের কারণে এখন পর্যন্ত ৮ খেলোয়াড়ের নাম এসেছে। এদের মধ্যেং ৫ জনের নাম নিলাম তালিকায় ছিল। তাদের নাম কাটা পড়েছে নিলাম তালিকা থেকে। তবে সবাইকেই দুনীর্তির তদন্তে ‘রেড মার্ক জোনে’ রাখা হয়েছিল আগেই। সবশেষ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ৯০০ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ওই কমিটি।