ব্যাংকগুলোর ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড ইস্যুর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। কার্ডে লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে কার্ড ব্যবহারের হার বেড়েছে ১২৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রেডিট, ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ডের লেনদেন প্রবণতা বাংলাদেশীদের মধ্যে বেড়েছে। কার্ড ব্যবহার করে খুচরা কেনাকাটা, পরিবহন খরচ, অর্থ স্থানান্তর, নগদ উত্তোলনসহ বিভিন্ন খাতে কার্ডহোল্ডারদের ব্যবহার বাড়ছে।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জানা গেছে, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে দেশে স্থানীয়দের ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ২১.১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে বিদেশে বাংলাদেশীদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেন সামান্য ওঠানামার করলেও শেষে ৭.০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপরদিকে, আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের কার্ড ব্যবহার বেড়েছে ৫৪.৬৯ শতাংশ।
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৩৬১ কোটি ১০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে তিন ধরনের কার্ডের মাধ্যমে দেশের বাইরে অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৫৫ কোটি টাকা । বিপরীতে, একই সময়ে বিদেশিদের কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে অর্থপ্রবাহ হয়েছে প্রায় ১৯৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বাংলাদেশি কার্ডধারীদের বিদেশে লেনদেনের পরিমাণ বিদেশিদের বাংলাদেশে লেনদেনের তুলনায় প্রায় ৪.৭৯ গুণ বেশি।
২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে দেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে। এতে ভোক্তাদের খুচরা কেনাকাটায় কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা বৃদ্ধির চিত্র উঠে এসেছে।
২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ৪৮টি তফসিলি ব্যাংক ও একটি নন–ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে অনুমোদিত মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৮৮.৭৬ বিলিয়ন টাকা, যার বিপরীতে মোট স্থিতিশীল বকেয়া রয়েছে ১২৬.৫৬ বিলিয়ন টাকা।
দেশভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশি নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে ক্রেডিট কার্ড, সৌদি আরবে ডেবিট কার্ড এবং প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করেছেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্ডধারীরাই সর্বাধিক ব্যয় করেছেন।