দুবাইয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই ম্যাচে ভিন্ন রূপে দেখা গেল তাসকিন আহমেদকে। নতুন বলে তাসকিন দুর্দান্ত, ধ্রুপদী। পুরোনো বলে ডেথ ওভারে তাসকিন বিবর্ণ, নির্বিষ। তবে দল জেতায় নিশ্চিতভাবেই মুখে চওড়া হাসি বাংলাদেশের পেস তারকার।
শারজাহ ওয়ারিয়র্সের হয়ে তাসকিন বল হাতে ৪ ওভারে ৪১ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। অথচ ইনিংসের শুরুতে পাওয়ার প্লে’তে বোলিং ছিল দুর্দান্ত। ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। শেষ ওভার করতে এসে হজম করেন চার ছক্কা। বিলিয়ে আসেন ২৫ রান। তাতে পাল্টে যায় তার বোলিং চেহারা।
আগে ব্যাটিং করে আবুধাবি নাইট রাইডার্স ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে। জবাব দিতে নেমে শারজাহ ওয়ারিয়র্স ইনিংসের শেষ বলে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে তাদের ম্যাচের নায়ক আদিল রশিদ। ম্যাচের শুরুতে দলের জয়ের কাজটা প্রায় করে দিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু শেষে তার বিবর্ণ বোলিং কাঁপন ধরিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন তাসকিনরা।
ইনিংসের প্রথম ওভারে তাসকিন তুলে নেন ফিল সল্টের উইকেট। তার অফস্টাম্পের বাইরের বল উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দেন সল্ট। পরের ওভারে ফিরে তাসকিন তুলে নেন অ্যালেক্স হেলসের উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করে কাভারে ইথান ডি’সুজার ক্যাচে ফেরেন হেলস। পাওয়ার প্লে’র পঞ্চম ওভার করতে এসে দুইটি বাউন্ডারি হজম করেন। তারপরেও ৩ ওভারে ১৬ রানে তাসকিনের পকেটে ২ উইকেট।
এরপর একেবারে শেষ ওভার করতে আসেন তাসকিন। নাইট রাইডার্সের রান তখন ৭ উইকেটে ১০৪। কিন্তু শেষটা একেবারে বাজে করেন ডানহাতি পেসার। তার ওভারে দুটি করে ছক্কা উড়ান আন্দ্রে রাসেল ও জেসন হোল্ডার। তাতে বিবর্ণ হয়ে যায় তার বোলিং স্পেল। ৪ ওভারে ৪১ রানে ২ উইকেট।
প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টি খেলা তাসকিন ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছেন। বোলিং গড় ২১.৭৫। ইকোনমি ৮.৭০।