আন্তর্জাতিক

ওডেসায় রুশ হামলা, বিদ্যুৎ বিপর্যয় ও সমুদ্রপথ বন্ধের শঙ্কা

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ওডেসায় হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং অঞ্চলটির সামুদ্রিক অবকাঠামো মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। 

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা বলেছেন, মস্কো ওডেসা অঞ্চলে ‘পদ্ধতিগত’ হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহেই তিনি সতর্ক করে জানান, যুদ্ধের মূল ফোকাস ওডেসার দিকে সরে যেতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “ধারাবাহিক এই হামলার উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের সামুদ্রিক লজিস্টিক ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেওয়া।” তার ভাষায়, রাশিয়া ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।

চলতি মাসের শুরুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুমকি দেন, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ট্যাংকারে ড্রোন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইউক্রেনের সমুদ্রপথ বিচ্ছিন্ন করা হবে। 

সোমবার সন্ধ্যায় ওডেসার বন্দর অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হামলায় একটি বেসামরিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর। রবিবারও হামলা চালানো হয়। 

হামলায় প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। একই সঙ্গে একটি বড় বন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যাতে আটা ও ভোজ্যতেলের ডজনখানেক কনটেইনার পুড়ে যায়।

এর আগের সপ্তাহে ওডেসার পূর্বাঞ্চলের পিভদেননি বন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আটজন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হন। সপ্তাহের শুরুতে আরেকটি হামলায় গাড়িতে ভ্রমণরত এক নারী নিহত হন। ওই ঘটনায় ওডেসা অঞ্চলকে মলদোভার সঙ্গে সংযুক্ত করা একমাত্র সেতুটিও সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ওডেসার বন্দর ইউক্রেনের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিয়েভ ও খারকিভের পর এটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর।

যুদ্ধ চললেও ইউক্রেন এখনো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম ও ভুট্টা রপ্তানিকারক দেশ। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ওডেসা একটি গুরুত্বপূর্ণ শস্য রপ্তানি করিডরের সূচনাবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার উপকূল ধরে তুরস্কে পৌঁছায়।