আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে পুলিশের গাড়িতে হামলা, নিহত ৫

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পুলিশের ওপর আরেকটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) কারাক জেলার গুরগুরি এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দ্য ডনের খবর অনুসারে, জেলা পুলিশের মুখপাত্র শওকত খান ঘটনা ও হতাহতের খবর নিশ্চিত করে জানান যে, শহীদ হওয়া পাঁচজনই কনস্টেবল ছিলেন। শহীদ পুলিশ সদস্যরা হলেন: কনস্টেবল শহীদ ইকবাল, সামিউল্লাহ, আরিফ, সাফদার এবং মুহাম্মদ আবরার (গাড়িচালক)।

মুখপাত্র আরো জানান, জেলা পুলিশ কর্মকর্তাসহ পুলিশের একটি বিশাল দল বর্তমানে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে এবং হামলাকারীদের ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

হামলার সঠিক ধরন এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের শেয়ার করা একটি ছবিতে দেখা গেছে যে, হামলার শিকার গাড়িটি পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে  নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই কঠিন সময়ে সরকারের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।

প্রধানমন্ত্রী পুলিশ বাহিনীর আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পুলিশ সদস্যরা সর্বদা সামনের সারিতে ভূমিকা পালন করেছেন এবং দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘অতুলনীয়’ সেবা প্রদান করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের সমগ্র জাতি শ্রদ্ধা জানায় এবং তাদের অবদান কখনোই ভোলা হবে না।”

সরকারের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ জোর দিয়ে বলেন, “পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের সম্পূর্ণ নির্মূলে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গত কয়েক সপ্তাহে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।গত সপ্তাহে লাক্কি মারওয়াত এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার ভাই নিহত হন। চলতি মাসের শুরুতে একই এলাকায় পুলিশের গাড়িতে এক আত্মঘাতী হামলায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত এবং পাঁচজন আহত হন।

গত মাসে হাঙ্গু এলাকায় একটি চেকপোস্টে সন্ত্রাসীদের হামলায় তিন পুলিশ সদস্য নিহত হন। কারাকের এই সাম্প্রতিক হামলাটি সেই ধারাবাহিক সহিংসতারই একটি অংশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।