কোরআন ও সুন্নাত প্রচারের আন্তর্জাতিক, অরাজনৈতিক, ত্বরিকতপন্থী সংগঠন দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকায় শুরু হচ্ছে তিন দিনের সুন্নাতে ভরা ইজতিমা।
রাজধানীর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন, কাওলায় (আশিয়ান সিটি) বুধবার ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এই ইজতেমা। ২৬ ডিসেম্বর পবিত্র জুমার নামাজ শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
তিন দিনে ইজতেমা সাজানো হয়েছে ইমান, আক্কিদা, নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, সুন্নাত, ওয়াজিব, পরহেজগারিতা, উন্নত চরিত্র গঠন, ইসলামের সঠিক রুপরেখাসহ কোরআন সুন্নাহর বিষয়ভিত্তিক বয়ান। দেশ বিদেশের ইসলামী স্কলার, আলেম ওলামা এতে বয়ান করবেন।
বুধবার থেকে অনুষ্ঠিতব্য তিন দিনের ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে দাওয়াতে ইসলামীর শিক্ষাবোর্ড ও মিডিয়া জিম্মাদার মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদি আত্তারি বলেন, “রাজধানীর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন, কাওলায় (আশিয়ান সিটি) প্রায় একশ একর জায়গাতে ইজতেমার বিশাল ময়দান তৈরি করা হয়েছে। শীত-কুয়াশা, ঝড় বৃষ্টি মাথায় রেখে শামিয়ানা টানিয়ে আলোকসজ্জা করে লাখো মুসল্লির তিন দিনের থাকার উপযোগী করেই ইজতেমার ময়দান তৈরি করা হয়। বিশাল ময়দানে প্রবেশ পথ, বের হওয়ার রাস্তাসহ অজু, গোসলের জন্য পুকুর খনন, পৃথক অজুখানার ব্যবস্থা, শত শত টয়লেট, খাবার রান্না করার অস্থায়ী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার, স্বেচ্ছাসেবক এর মাধ্যমে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তিন দিনের ইজতেমার নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের সহযোগিতা করবেন আমাদের শত শত স্বেচ্ছাসেবক। ইজতেমায় খাবারের দোকান, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন স্টল থাকছে। ইজতেমার বয়ান লাইভ করবে সংগঠনটির নিজস্ব মাদানি চ্যানেল।
এদিকে, তিন দিনে সুন্নতে ভরা ইজতেমা সফল করার আহ্বান জানিয়ে সারা দেশ থেকে লাখো আশেকে রাসুল (মুসল্লি) ইজতিমায় শরিক হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইজতেমা কমিটির জিম্মাদার মুহাম্মদ কামাল আত্তারি।
মঙ্গলবার ইজতেমা মাঠে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিবছরের মতো এবারও আমরা তিন দিনের সুন্নতে ভরা ইজতেমা করতে যাচ্ছি। আশা করছি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লাখো মুসল্লি অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠবে ইজতেমা ময়দান। বিষয়ভিত্তিক বয়ান হবে।”
ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদের কোনো স্থান নেই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশেষ করে আল্লাহর নির্দেশিত মহানবী ও তার সাহাবা গণের দেখানো পথে যে ইসলাম সেই ধর্মের সব বিষয় নিয়ে তিন দিনের ইজতেমায় বয়ান হবে।
তিনি জানান, ইজতেমার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইজতেমা সফল করতে দেশের সুন্নি আলেম ওলামা, সূফি, দেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, মিডিয়াসহ সর্বস্তরের আশেকে রাসূলদের সহযোগিতা কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দাওয়াতে ইসলামীর মিডিয়া বিভাগের জিম্মাদার মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদি আত্তারি, সংগঠনটির বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক কাদেরীসহ শীর্ষপর্যায়ের নেতারা।