ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শৈলকুপা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মতা দেবাশীষ অধিকারীর কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়।
শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির উপজেলা ও পৌর শাখার নেতাকর্মীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল বারি মোল্লা, সহসভাপতি খলিলুর রহমান, জেলা বিএনপির সহসভাপতি নজরুল জোয়ার্দ্দার, রাকিবুল ইসলাম দিপু, উপজেলা বিএনপির যুগ্নসাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন মোল্লা, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন অন্য নেতাকর্মীরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) দেবাশীষ অধিকারী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এসময় ভোটার সিডির চালান কপিও তারা গ্রহণ করেছেন।
ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনটি একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২৭০; যার মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৬২ হাজার ৯৯৫ ও নারী ১ লাখ ৬২ হাজার ২৭৫।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ ছাড়া অন্য দলগুলো প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দলটির সাবেক মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে তিনি দায়িত্ব পান। শৈলকুপা উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপিসহ ১৪টি ইউনিয়নের বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের পর থেকেই তার পক্ষে নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির আয়োজনে একটি দোয়া মাহফিলে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেন মো. আসাদুজ্জামান। ইতোমধ্যে তিনি বিএনপির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত পেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে দিয়ে ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে ওই অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন।
১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান (আওয়ামী লীগ), ১৯৯১ সালে আব্দুল ওহাব (বিএনপি), ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আব্দুল ওহাব (বিএনপি), ১৯৯৬ সালের ২ জুনের নির্বাচনে আব্দুল ওহাব (বিএনপি) নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১ সাল থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে উপজেলা জামায়াতের আমির এএসএম মতিউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে জেলার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নুর আলম বিশ্বাস, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে শৈলকুপা শাখার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট লাবাবুল বাশার, আমার বাংলাদেশ পার্টি থেকে জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এবং বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সাহিদুল এনাম পল্লবকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন।