ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, “দেশে হত্যা বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। যারা নিজেদের শক্তিশালী দাবি করে, তারা বিরোধীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছি।”
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করিম বলেন, “সরকারি প্রটোকলের বেলায় নিয়ম আছে, আইন আছে। সে অনুযায়ী হচ্ছে না। আগামীতে প্রশাসন কোনো দিকে ঝুঁকে যায় কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হয়।”
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বিগত সিইসির পরিণতি কী হয়েছে তা আপনারা জানেন। তারা যেন ভবিষ্যতে মবের আওতাধীন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।”
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “দুর্নীতিবাজকে নির্বাচিত করবেন না। দেশ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। দেশকে রক্ষা করতে হবে।”
অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে শঙ্কিত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল করিম বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোটার, কেন্ডিডেট কেউ নিরাপদে নেই। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ছাড়া অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।”
আসন সমঝোতার প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটি প্রায় চূড়ান্ত। দুই-একদিনের মধ্যে ঘোষণা হবে। আমি একটি দলের আমির, বরিশালের সিট কার তা বলার দরকার পরে না। জোট হলে অবশ্যই আমাদের ছেড়ে দেবে। আমিরের এলাকার সিটই যদি আমির না পায়, তবে আর জোট কিসের?”
১৫০ আসন চেয়েছেন প্রশ্নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির বলেন, “এটি শোনা কথা। যার যেখানে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাকে সেখানেই দেব। পিরোজপুর সাঈদীর আসন, ছেড়ে দেব। যেখানে জামায়াত শক্তিশালী সেখানে আমরা ছেড়ে দেব।”
সমঝোতা হলে বরিশাল এবং বাকেরগঞ্জের দুই আসনেই নির্বাচন করবেন কিনা সেটি দলের সিদ্ধান্ত বলে জানান ইসলামি আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি ফয়জুল করিম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন নাইস, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাসির উদ্দিন কাওছার, মহানগরের নির্বাহী সদস্য মাস্টার আব্দুল হালিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।