দেহঘড়ি

খেজুর রসের স্বাস্থ্য  উপকারিতা

আমাদের সংস্কৃতিতে শীতকালে খেজুরের কাঁচা রস ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে সমাদৃত হয়। ভোরবেলায় অনেকে গাছ থেকে খেজুর রসের কলসি নামিয়ে সরাসরি কাঁচা রস পান করে থাকেন। খেজুরের রস প্রাকৃতিক শর্করার চমৎকার উৎস। এতে থাকা গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ দ্রুত শক্তি জোগায়, যা শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে কার্যকর। খেজুরের রস হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও খেজুর রসের জুড়ি নেই। এ ছাড়াও খেজুরের রসের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

হাড় ও পেশীর স্বাস্থ্য উন্নত করে খেজুরের রসে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের উৎস হওয়ায় হাড় মজবুত করে ও পেশীর গঠনে সাহায্য করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে খেজুরের রসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি করে খেজুরের রস প্রাকৃতিক এনজাইম হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ত্বকের স্বাস্থ্য খেঁজুরের রসে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় ও বার্ধক্যের ছাপ কমায়।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে খেজুরের রসে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, যা রক্তাল্পতা কমায়।

মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় খেজুরের রসে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও মেজাজ ভালো রাখতে সহায়ক। 

বিবিসির তথ্য, ‘‘খেজুর রস সংগ্রহের পর আগুনে ৭০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে গরম করলেই ভাইরাস মরে যায়।’’