আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ধকল কাটিয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর পর সাদা বলের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। আর ফিরেই নিজের প্রিয় মাঠ চিন্নাস্বামীতে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের এক অনন্য রেকর্ড। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে বিসিসিআই-এর শর্ত মেনে বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে নেমেই লিস্ট-এ ক্রিকেটে দ্রুততম ১৬ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই আধুনিক কিংবদন্তি।
দিল্লির জার্সি গায়ে অন্ধ্র প্রদেশের বিপক্ষে এদিন বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ৩৭ বছর বয়সী কোহলি। ১০১ বলে ১৩১ রানের এক রাজকীয় ইনিংস খেলার পথেই তিনি লিস্ট-এ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রানের গণ্ডি পার করেন। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে বিরাটের লেগেছে মাত্র ৩৩০ ইনিংস। যেখানে শচীন টেন্ডুলকারের লেগেছে ৩৯১ ইনিংস। অর্থাৎ, শচীনের চেয়ে ৬১ ইনিংস কম খেলেই সিংহাসন নিজের করে নিলেন কোহলি।
লিস্ট-এ ক্রিকেটে দ্রুততম ১৬ হাজার রানের অভিজাত তালিকায় কোহলি এখন গর্ডন গ্রিনিজ (৪২২), রিকি পন্টিং (৪৩০) এবং ভিভ রিচার্ডসদের (৪৩৫) মতো মহারথীদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে।
কোহলির রেকর্ডের দিনে পিছিয়ে ছিলেন না ভারতের আরেক মহাতারকা রোহিত শর্মাও। সাত বছর পর বিজয় হাজারে ট্রফিতে ফিরে মুম্বাইয়ের হয়ে হারিয়ানা ম্যাচে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি। ৩৮ বছর ২৩৮ দিন বয়সে মাত্র ৬২ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে শতকের রেকর্ড গড়েন রোহিত। শেষ পর্যন্ত ১৫৫ রানের দানবীয় ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। যা লিস্ট-এ ক্রিকেটে তার নবম ১৫০+ রানের ইনিংস। এই কীর্তিতে তিনি এখন যৌথভাবে বিশ্বসেরা।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নিলেও ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের উপযোগিতা প্রমাণে মরিয়া কোহলি। টিম ম্যানেজমেন্টের শর্ত মেনে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার প্রথম ম্যাচেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন, ২০২৭ বিশ্বকাপের ব্যাটন তার হাতেই মানায়। অন্যদিকে, রোহিতের ১৮টি চার ও ৯টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি জানান দিচ্ছে, ফর্ম এবং ফিটনেস; দুটোই এখনও তার আয়ত্তে।
বিজয় হাজারে ট্রফির এই ব্লকবাস্টার বুধবার কেবল দিল্লি বা মুম্বাইয়ের জয় দেখায়নি, বরং ভারতীয় ক্রিকেটের দুই স্তম্ভের পুনরুত্থানের সাক্ষী হয়ে থাকল।